করোনাভাইরাসের মহামারীর মধ্যে পৃথিবীবাসীর জন্য এলো একটি সুখবর। ২০১১ সালের পর ওজোন স্তরে যে বিরাট গর্তের সন্ধান মিলেছিল, তা পূরণ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের আবহাওয়া বিষয়ক সংস্থা (ডাব্লিউএমও)।
ডাব্লিউএমও’র জেনেভা কার্যালয়ের মুখপাত্র ক্লেয়ার নুলিস শুক্রবার জানিয়েছেন, উত্তর গোলার্ধের উপরের দিকে ওজোন স্তরের ক্ষয় করতে পারে এমন বসন্তকালীন পরিবেশ সহায়ক বাতাস ও নানা উপাদান ছিল, যা ধীরে ধীরে অধিক শীতল শীতকাল সৃষ্টি করেছিল স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে। ওই দুই কারণে অতিমাত্রায় ক্ষয় দেখা গিয়েছিল ওজোন স্তরে। যা ২০১১ সালের পরে এখনও পর্যন্ত সবথেকে মারাত্মক ছিল। এখন ওজোন স্তরে গর্ত বন্ধ হয়ে সেটা একেবারে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে গিয়েছে।
ওই গর্তের আকার গ্রিণল্যান্ডের চেয়ে দশগুণ বড় ছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি।
The unprecedented 2020 northern hemisphere #OzoneHole has come to an end. The #PolarVortex split, allowing #ozone-rich air into the Arctic, closely matching last week's forecast from the #CopernicusAtmosphere Monitoring Service.
More on the NH Ozone hole➡️https://t.co/Nf6AfjaYRi pic.twitter.com/qVPu70ycn4
— Copernicus ECMWF (@CopernicusECMWF) April 23, 2020
হঠাৎ করে এই গর্ত পূরণের জন্য করোনাভাইরাসের কোনো ভূমিকা আছে কিনা, এমন টুইটের জবাবে বলা হয়েছে,’এর সঙ্গে কোভিড পরিস্থিতির কোনো সর্ম্পক নেই। অনেকসময় ধরে ওই গর্তের পাশে থাকা ঘূর্ণিবার্তা ওই অবস্থা সংস্কারে ভূমিকা রেখেছে।
১৯৮৫ সালে এন্টার্কটিকার উপরে ওজোন স্তরে গর্ত চিহ্নিত হয়েছিল। এর ২ বছর পরে ‘মন্ট্রিল প্রটোকল’ এর মাধ্যমে ১৯৭ দেশ ওজোন স্তর রক্ষায় ক্ষতিকর ক্লুরোফোরোকার্বন কমিয়ে ওজোন স্তর রক্ষায় সম্মত হয়।