চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

করোনা ভাইরাস মারার কৌশল জানাল সিঙ্গাপুর

করোনা ভাইরাস মেরে ফেলার কৌশল আবিষ্কারের কথা জানিয়ে সিঙ্গাপুরের একদল গবেষক বলছেন, জীবাণুনাশক দিয়ে নিয়মিত পরিষ্কার করলে ভাইরাসটি মরে যায়।

তাদের দাবি, করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের শোবার ঘর ও বাথরুম প্রচণ্ড দূষিত থাকে। তাই কোনো জিনিস বা বস্তুর পৃষ্ঠতল, মেঝে, বেসিন ও টয়লেট-কমোড জীবাণুনাশক দিয়ে বারবার পরিষ্কার করা প্রয়োজন। এতে ওই ভাইরাস মরে যায়।

সিঙ্গাপুরের সেই গবেষণাপত্রটি আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনে প্রকাশিত হয়েছে। চীনের হাসপাতালে ব্যাপক আকারে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর বেশ কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হওয়ার পরে এ গবেষণা তথ্য উঠে আসে।

গবেষণা দলটির প্রধান গবেষকের মতে, কাশি ছাড়াও পরিবেশ দূষণ এই রোগ ছড়ানোর একটি বড় কারণ। তবে তার বিস্তৃতি কতটা, তা পরিষ্কার করে বলা হয়নি।

সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল সেন্টার ফর ইনফেকশাস ডিজিজ এবং ডিএসও ন্যাশনাল ল্যাবরেটরিজের গবেষকরা তিনজন রোগীকে বিশেষভাবে নজরদারির মধ্যে রেখেছিলেন। যারা আইসোলেশনে ছিলেন গত জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের শুরু পর্যন্ত।

গবেষকরা সেই রোগীদের ঘর থেকে দুই সপ্তাহ ধরে নমুনা সংগ্রহ করেন। একজন রোগীর ঘরের নমুনা নিয়মিত পরিচ্ছন্নতার আগেই নেওয়া হয়। আর অন্য দুই রোগীর ঘরের নমুনা জীবাণুমুক্তকরণ ব্যবস্থার পর সংগ্রহ করা হয়।

দেখা যায়, যে রোগীর ঘরে পরিষ্কার করার আগেই নমুনা নেওয়া হয়েছিল, তার শরীরে কম পরিমাণে জীবাণু ছিল। তবে তিনি শুধু কাশিতে ভুগছিলেন। অন্য দুই জনের মাঝারি লক্ষণ ছিল। তারা কাশি ও জ্বরে ভুগছিলেন। একজনের আবার শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। অন্যজনের কাশির সঙ্গে মিউকাস আসছিল।

এই ধরনের অসমতা থাকার পরেও, যে রোগীর পরিষ্কার করার আগেই নমুনা নেওয়া হয়েছিল, তার ঘরের ১৫টি অংশের ১৩টিই যেমন চেয়ার, বিছানার ধার, কাচের জানালা, মেঝে, বিদ্যুতের সুইচ দূষিত ছিল। টয়লেটের পাঁচটি অংশের তিনটি দূষিত ছিল। তার মধ্যে সিংক, দরজার হাতল, কমোড ছিল সবচেয়ে বেশি দূষিত।

ওই ঘরের বাতাসে দূষণ পাওয়া না গেলেও বায়ু নিষ্কাশন অংশে কিছুটা দূষণ পাওয়া যায়। যেটা অন্য দুজনের ঘরে ছিল না।

ক্যালিফোর্নিয়ায় জরুরি অবস্থা
করোনা ভাইরাসের একজনের মৃত্যুর পর ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এই ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছে ১১ জন। যাদের ১০ জনই ওয়াশিংটনের। এর আগে ওয়াশিংটন ও ফ্লোরিডাতেও রাজ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়।

পুরো দেশে এই ভাইরাস সনাক্তে আরও বেশি পরীক্ষা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে হোয়াইট হাউজ।

করোনায় মোট মৃত্যু
করোনা ভাইরাসে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৯৫ হাজার ৪৮১ জন মানুষ। প্রাণ হারিয়েছেন ৩ হাজার ২৮৬ জন। যাদের বেশিরভাগই চীনে। আর সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৫৩ হাজার ৬৮৮ জন মানুষ।