চীনে আরও ১৩৬ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে নতুন করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তবে নতুন রোগীর সংখ্যা আরও কমে আসায় ভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে আশা দেখছেন চীনা চিকিৎসকরা। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে: গত ডিসেম্বরের শেষে নতুন করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর মঙ্গলবারই প্রথম নতুন রোগীর চেয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরা মানুষের সংখ্যা ছিল বেশি।
আরেকটি উদ্বেগজনক সংবাদ হলো: সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশি এক রোগির অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। ৩৯ বছর বয়স্ক ঐ রোগীর দেহে কোনো ওষুধ আর কাজ করছে না। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আজ এ তথ্য জানিয়েছেন। মন্ত্রী আরও জানান: ১৩ দিন যাবৎ তিনি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন। কিন্তু গতকাল থেকে তিনি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন না। সাড়া না দেওয়ায় সিঙ্গাপুর যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। আমরাও এই সংবাদে উদ্বেগ প্রকাশ করছি। আশা করি এটা নিয়ে বাংলাদেশিদের ভেতর করোনা ভাইরাস নিয়ে যেনো কোনো আতঙ্ক কাজ না করে।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, দেশটির মূল ভূখণ্ডে আরও ১ হাজার ৭৪৯ জনের শরীরে নতুন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ১ হাজার ৮২৪ জন। সব মিলিয়ে চীনে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৪ হাজার ১৮৫ জনে। আর অন্তত ২৮টি দেশ ও অঞ্চলে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করো ভাইরাস নিয়ে বাংলাদেশের প্রস্তুতি কতটুকু সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে কিছু বলা হয়নি। আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আর্কষণ করে বলতে চাই সরকারকে এ ব্যাপারে দ্রুতই সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং জনগনকে সচেতন করার লক্ষ্যে বিভিন্ন জেলা পর্যায়ে উদ্যোগ নিতে হবে। আমরা এমন আশঙ্কায় থাকতে চাই না যে বাংলাদেশে এই ভাইরাস আক্রমণ করে কোনো মহাবিপর্যয় ঘটে যাক।
করোনা ভাইরাস এখন শুধু চীনের সমস্যা নয় এবং এটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে আমাদের মত অপ্রতুল চিকিৎসা কেন্দ্রের দেশে যদি অতিরিক্ত সতর্কতার সঙ্গে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা না করে, তবে বিপর্যয় ঘটার আশংকা থেকেই যায়। আমরা আশা করছি সরকার ইতিমধ্যে এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে।