করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত শহরের মাঝখানে নতুন একটি হাসপাতাল চালু করতে পুরোপুরি প্রস্তুত চীন। সেখানে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দেওয়া হবে কেননা আক্রান্তের সংখ্যাটা প্রতিনিয়ত বাড়ছে।
উহানের ১০০০ শয্যার হুয়োশেনশান হাসপাতালটি মাত্র আটদিনে তৈরি। সেখানে এই সংকটে সেবা দেওয়ার জন্য দুটি বিশেষায়িত হাসপাতাল তৈরি করা হচ্ছে।
ভাইরাসটি মোকাবেলায় সংগ্রাম করে যাচ্ছে চীন। এরই মধ্যে ১৭০০০ মানুষ নিশ্চিত আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আর প্রাণ হারিয়েছে ৩৬১ জন।
চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে হুয়োশেনশান হাসপাতালের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। সোমবার থেকেই সেটা চালু হচ্ছে। ১৪০০ চীনা সেনাবাহিনীর মেডিকেল কর্মীকে নতুন স্থানে পাঠানো হচ্ছে।
দ্বিতীয় আরেকটা বিশেষায়িত হাসপাতাল লেশেনশানের কাজ বুধবার শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। হাসপাতাল দুটিতেই অনেক রোগীর চাপ থাকবে কারণ সেখানে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে।
ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, কিছু হাসপাতাল কর্মী এরই মধ্যে ন্যাপি পরা শুরু করেছে কারণ রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে তারা বাথরুমে যাওয়ারও সময় পাচ্ছেন না। মেডিক্যাল উপাদানেরও কমতি উপলব্ধি করছে হাসপাতালগুলো। উহানের চিলড্রেন হসপিটাল সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে লিখেছে, মেডিক্যাল সাপ্লাই কমে এসেছে। সাহায্য করুন।
লম্বা লাইন দেখা যাচ্ছে হাসপাতালগুলোর বাইরে। আর সেটা এতটাই লম্বা যে ডাক্তারের সঙ্গে দেখা হতে হতেই অন্তত ১০ ঘণ্টা লেগে যাচ্ছে।
তবে আক্রান্তের সংখ্যা আরো বাড়বে। ইউনিভার্সিটি অব হংকংয়ের মতে সরকারিভাবে যে সংখ্যা বলা হচ্ছে আক্রান্তের সংখ্যা তার থেকে অনেক বেশি হতে পারে।
বিশেষ করে উহান শহরে ৭৫ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হতে পারে। উহান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আর দেশব্যাপি বড় বড় শহরগুলোতে কম গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা বন্ধ করা হয়েছে।