করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি আসলে কোন দিকে যাচ্ছে, তা কেউ বলতে পারছে না। চীন থেকে শুরু হয়ে এই ভাইরাসের প্রকোপে কাঁপছে পুরো বিশ্ব। ইটালি, ইরান, সাউথ কোরিয়াসহ উন্নত দেশের মৃত্যুর মিছিলও পুরো বিশ্ব দেখছে অসহায়ের মতো। বাংলাদেশেও করোনা পরিস্থিতি দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে। একজনের মৃত্যু হলেও আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
ইতোমধ্যে পাশ্ববর্তী দেশ ভারত লকডাউনের কথা ভাবতে শুরু করেছে। আমাদের দেশে প্রয়োজন হলে লকডাউন থেকে শুরু করে জরুরি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে ইঙ্গিত আসতে শুরু করেছে। পরিস্থিতি খারাপ হলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া উচিত বলে আমরাও মনে করি।
করোনা ভাইরাসের কোনো সরাসরি প্রতিষেধক না থাকায় এই ভাইরাসে আক্রান্তের ফলে আতঙ্ক ও শঙ্কা দিন দিন বাড়ছে। তবে আশার কথা, কিছু কিছু দেশ ও ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বিচ্ছিন্নভাবে কিছু সুসংবাদ দিতে শুরু করেছে। হয়তো খুবই দ্রুতই এই অবস্থার নাটকীয় পরিবর্তন আসতে পারে।
বিপদে পড়লে মানুষ স্বাভাবিক চিন্তা-বোধ হারিয়ে ফেলে। করোনা আতঙ্কেও দেশের পণ্যবাজারে অপ্রয়োজনীয় কেনাকাটার একটা বাতিক দেখা যাচ্ছে। যার ফলে নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে। এই অবস্থায় সবার উচিত মাথা ঠাণ্ডা রেখে ও মানবিক আচরণ করে সিদ্ধান্ত নেয়া।
করোনার কারণে কোনো জরুরি অবস্থা তৈরি হলে, সাধারণ মানুষের জীবনের মৌলিক চাহিদার বিষয়গুলো কীভাবে দেখা হবে তা নিয়ে নীতিনির্ধারকদের এখনই চিন্তা করা উচিত বলে আমরা মনে করি। খাদ্য-চিকিৎসাসহ নানা বিষয়ে রাষ্ট্রীয় কোনো ব্যাকআপ প্ল্যান ঘোষণা করে জনগণের আতঙ্ক দূর করাও জরুরি, যাতে করে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয়।
আমাদের আশাবাদ, দেশের সর্বস্তরের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই দুর্যোগ পরিস্থিতি আমরা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবো।