২০১৯ সালের শেষ থেকে ২০২০ সালের শুরুতে বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে আলোচিত নাম করোনা ভাইরাস। গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহান শহরে প্রথম নজরে আসে পুরোপুরি নতুন এই ভাইরাসটি।
কিন্তু আসলেই কি এই ভাইরাস নতুন? এই প্রশ্নের অবতারণা হয়েছে ১৯৮১ সালে প্রকাশিত একটি বইয়ের সূত্র ধরে। ওই বইটিতে ২০২০ সাল ও করোনায় আক্রান্তের লক্ষণ উল্লেখ করে লেখা হুবহু মিলে যাওয়াতে বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
করোনা ভাইরাস ধরনের অসুস্থতার খবর দেওয়া ১৯৮১ সালে প্রকাশিত বইটির নাম, দি আইজ অব ডার্কনেস। লিখেছেন আমেরিকান লেখক ডিন কন্টজ।
যুক্তরাষ্ট্র পকেট বুক থেকে প্রকাশিত ওই থ্রিলার উপন্যাসটির ৩১২ নম্বর পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, ২০২০ সালের দিকে বিশ্বব্যাপী একটি ভয়াবহ নিউমোনিয়া ধরনের অসুস্থতা ছড়িয়ে পড়বে। সেটি শ্বাসযন্ত্র, শ্বাসনালী সংশ্লিষ্ট টিউবে আক্রমণ করবে সম্ভাব্য সব ধরনের চিকিৎসা থাকা সত্ত্বেও। অসুস্থতার চেয়েও সবচেয়ে হতবুদ্ধির বিষয় হবে যতটা আকস্মিক রোগটি আসবে ততটা আকস্মিকই সেটা নির্মূলও হয়ে যাবে। দশ বছর পরে সেটি আবার আক্রমণ করবে। তারপরে চিরতরে নিশ্চিহ্ন হবে।
বইটির আরেকটি পৃষ্ঠায় লেখা হয়েছে, তারা ‘উহান-৪০০’ এর কর্মীদের ডাকলেন। কারণ এটা উহান শহরের বাইরে তাদের আরডিএনএ ল্যাবে তৈরি হয়েছে। এটি ৪০০ তম মানুষ্যতৈরি উদ্ভিদজ জীবাণুর স্থায়ী অত্যাচার যেটা সেই গবেষণা প্রতিষ্ঠানে তৈরি হয়েছে।
পুরনো সেই বইতে লেখা তথ্যের সঙ্গে পুরোপুরি মিলে যায় বর্তমানে বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের অবস্থা। চীনের উহান শহর থেকে গত বছরের ডিসেম্বরে বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে পড়ে করোনা ভাইরাস। আকস্মিকই এর প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। এবং খুব দ্রুতই সেটা মহামারী আকার ধারণ করে।
সারাবিশ্বে করোনা ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন ৪ হাজারেরও বেশি মানুষ আর আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ১৩ হাজারেরও বেশি জন।