করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা এখন শুন্য, তাই সবধরণের কঠোর লকডাউন নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে নিউজিল্যান্ড। ৮ জুন মধ্যরাত থেকে সবধরণের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে দেশটি।
সোমবার দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, দেশে মাত্র একজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত ছিলেন, তিনিও সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তার মানে দাঁড়ায় দেশজুড়ে আর কোনো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী নেই। গত ১৭ দিনেও সেখানে কোনো আক্রান্তের তথ্য নেই বলে জানিয়েছে তারা।
দেশের ৫০ বছর বয়সী সর্বশেষ করোনা আক্রান্ত নারীর গত ৪৮ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসের কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। তারপরই তাকে সেখানকার সেন্ট মার্গারেট হসপিটাল অ্যান্ড রেস্ট হোম থেকে সুস্থ ঘোষণা করা হয়।
এর আগে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডন ঘোষণা করেন, দেশে এখন লেভেল ওয়ানের সতর্কতা জারি করা হবে।
এই পদক্ষেপ অনুসারে এখন দেশে বিয়ে, শোকসভা, আতিথেয়তা ও গণপরিবহন সেবা কোনো নিষেধাজ্ঞা ছাড়াই চালু হবে।তবে নিউজিল্যান্ডের সীমান্ত এখনও বন্ধই থাকবে।
জেসিন্ডা বলেন, লেভেল ১ এর অধীনে আপনি আপনার কাজে ফিরতে পারেন। তবে তিনি সবাইকে কোথায় কোথায় যাচ্ছেন, সে তথ্য তালিকাভুক্ত রাখতে হবে, যেন আবার কেউ আক্রান্ত হলে তাকে চিহ্নিত করা যায়।
তিনি আরও বলেন, যদি আমরা আবার একটি বা দুটি ঘটনার খবর পাই, যেটা বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে এবং এই ভাইরাসের প্রকৃতি দেখে সম্ভব মনে হচ্ছে, তখন আমাদের তাদের আগে বন্ধ করতে হবে। সবশেষে আমরা আবার সতর্কতা স্তর ব্যবস্থা চালু করতে চাই।
গত মার্চে করোনাভাইরাসের বিস্তার নিয়্ন্ত্রণে কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেয় নিউজিল্যান্ড। ১৯ মার্চ থেকে তারা বন্ধ করে দেয় তাদের সীমান্ত। পরে সংক্রমণ কমতে শুরু করলে চার ধাপের সতর্কতা স্তর প্রয়োগ করে ধীরে ধীরে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।
লকডাউনের প্রথম ধাপে কিউইদের শুধু স্বাস্থ্যসেবা ও সুপারমার্কেটে যাওয়ার কাজ ছাড়া ঘরেই রাখা হয়।
নিউজিল্যান্ডের হেলথের ডিরেক্টর জেনারেল অ্যাশলে ব্লুমফিল্ড বলেন, ওই নারীর রোগমুক্তি এমন একটি বিষয় যা পুরো নিউজিল্যান্ড হৃদয়ে ধারণ করছে। কোনো অ্যাকটিভ কেস না থাকাটা আমাদের সফরের একটি তাৎপর্যপূর্ণ ধাপ। তবে কোভিড-১৯ এর জন্য চলমান সতর্কতা অব্যাহত রাখাও খুবই জরুরি।