করোনাকালীন সময়ে স্কুল বন্ধ থাকায় প্রাথমিক এবং মাধ্যমিকের কমপক্ষে ৬০ লাখ শিক্ষার্থী শিক্ষার ক্ষতির ঝুঁকিতে পড়েছে। বিকল্প উপায়ে শিক্ষা চালিয়ে নিতে পরিবার প্রতি ১৩% খরচ বেড়েছে।
৭ হাজার পরিবারের ওপর জরিপ চালিয়ে এই তথ্য পেয়েছে বেসরকারি সংস্থা পাওয়ার এন্ড পার্টিসিপেশন সেন্টার (পিপিআরসি)।
এই জরিপের গবেষণা সহযোগী ছিলো ব্র্যাক ইন্সটিটউট অব গভার্ননেন্স স্টাডিজ এন্ড ডেভেলপমেন্ট বিআইজিডি।
জরিপে অংশ নেয়া ৯০ শতাংশের বেশি অভিভাবক চান, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের গতিবিধি দেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল খুলে দেয়া হোক।
গেল বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ সারাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সেই থেকে এ বছরের মার্চ পর্যন্ত প্রায় ৬০ লাখ শিক্ষার্থীর বেশিরভাগই নিয়মিত পড়ালেখায় নেই। এমনকি এই সময়ে ডিজিটাল ডিভাইস, ইন্টারনেট সংযোগ, টিউশনির টাকা যোগাড় করতে না পেরে কওমী মাদ্রাসা মুখী হয়েছে গড়ে ৪ শতাংশ শিক্ষার্থী।
আর যেসব পরিবার অনলাইন ক্লাস কিংবা প্রাইভেট টিউটর এর খরচ যোগাড় করেছেন তাদের গড়ে ১৩ শতাংশ অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে।