দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৭১৭তম দিনে শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৯৯০ জন।
এই সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ৫৯৫ জন। শনাক্তের হার ছয় দশমিক ৭৭ শতাংশ। আগের দিন সোমবার শনাক্ত হয়েছিল এক হাজার ৯৫১ জন।
এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয়বারের মতো এবং গত ২০ নভেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো করোনায় মৃত্যুহীন দিন দেখে বাংলাদেশ। গত ৫ আগস্ট দেশে সর্বোচ্চ ২৬৪ জন রোগী মারা যায়। গত ২৮ জুলাই সর্বোচ্চ শনাক্ত হয় ১৬ হাজার ২৩০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীরের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ২৩ হাজার ৫৪৭টি পরীক্ষায় এক হাজার ৫৯৫ জন এই ভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ছয় দশমিক ৭৭ শতাংশ। তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬১ শতাংশ।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৮৮ লাখ ৯৬ হাজার ২৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৪৩ লাখ ৬৪ হাজার ৪৮৪টি নমুনা। অর্থাৎ মোট পরীক্ষা করা হয়েছে এক কোটি ৩২ লাখ ৬০ হাজার ৫১১টি নমুনা। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছে ১৯ লাখ ৩৬ হাজার ৮৫৭ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় আট হাজার ৩৫৭ জনসহ মোট ১৭ লাখ ৭১ হাজার ৬১৫ জন সুস্থ হয়েছে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২১ জনের মধ্যে সাতজন পুরুষ ও নয়জন নারী। তারাসহ মৃতের মোট সংখ্যা ২৮ হাজার ৯৯০ জন। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যু হার এক দশমিক ৫০ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ১৮ হাজার ৫১১ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৬৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং ১০ হাজার ৪৭৯ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ৩৬ দশমিক ১৫ শতাংশ।
ওয়ার্ল্ডোমিটারসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসে এখন পর্যন্ত ৪২ কোটি ৬৮ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫৯ লাখ ১১ হাজারের বেশি। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৩৫ কোটি ৪০ লাখের বেশি।