চীনকে ছাড়িয়ে করোনা ভাইরাসের কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠছে যুক্তরাষ্ট্র। সর্বশেষ খবরে দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছে ৮৫ হাজার ৪৮৯ জন মানুষ, যা করোনার উতপত্তিস্থল চীনের চেয়ে বেশি। তবে চীনের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্র মৃত্যুর হার কম। যুক্তরাষ্ট্রে ১ হাজার ২৯৭ জান মানুষের মৃত্যু হয়েছে করোনায়।
সারাবিশ্বে করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর হার দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। মৃত্যুর সংখ্যা এখন ২৪ হাজার ৮৩ জনে দাঁড়িয়েছে। দ্রুতগতিতে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও। বিশ্বব্যাপী করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছে ৫ লাখ ৩২ হাজার ১১৯ জন।
ইউরোপের কয়েকটি দেশ মৃত্যুপুরিতে পরিণত হয়েছে। ইটালিতে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৭ শতাধিক মানুষ। দেশটিতে আক্রান্ত ৮০ হাজারে পৌঁছেছে। করোনায় সর্বাধিক মৃত্যুর হার ইটালির। এখন পর্যন্ত মারা গেছে ৮ হাজার ২১৫ জন।
স্পেনে করোনার প্রাদুর্ভাব চলছে সমানতালে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ৫ শতাধিক মৃত্যু হয়েছে। মোট মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৩৬৫ জন। আর মোট আক্রান্ত ৫৭ হাজার ৭৮৬ জন।
ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, সুইজারল্যান্ডেও বাড়ছে করোনা রোগী।
এশিয়ার দেশ ইরানে করোনা ভয়াবহ আঘাত আনছে প্রতিদিন। দেশটিতে মোট মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ২৩৪ জন। আক্রান্ত হয়েছে ২৯ হাজার ৪০৬ জন।
গত ডিসেম্বরে চীন থেকে করোনা ভাইরাস শুরু হয়ে সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে গেছে। বিশ্বের ১৯৯টি দেশ ও অঞ্চল করোনায় আক্রান্ত। লকডাউন হয়ে গেছে বিশ্বের প্রায় সব দেশ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সর্বশেষ দিয়েছে আরো ভয়ংকর খবর।
সংস্থাটির প্রধান বলেছেন, করোনা থেকে মুক্ত হতে লকডাউনই একমাত্র সমাধান নয়। রোগ থেকে বাঁচার জন্য কিছু সময় পাওয়া মাত্র। করোনার বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। দ্রুত পরীক্ষা করাতে হবে, শনাক্ত করতে হবে, আলাদা করে চিকিৎসা দিতে হবে।