চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

করোনায় প্রায় ৯৭ শতাংশ ভারতীয় পরিবারের আয় কমেছে: সিএমআইই

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয ঢেউয়ের ধাক্কায় চাকরি হারিয়েছেন এক কোটির বেশি ভারতীয়। আর গত বছর ভারতে মহামারীর দাপট শুরুর পর থেকে প্রায় ৯৭ শতাংশ পরিবারের আয় কমেছে। ‘সেন্টার অফ মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি’-র (সিএমআইই) প্রধান নির্বাহী মহেশ ব্যাস এমনটাই জানিয়েছেন।

সিএমআইইয়ের বরাত দিয়ে হিন্দুস্থান টাইমস জানিয়েছে, মে মাসের শেষে বেকারত্বের হার ১২ শতাংশে যেতে পারে। যা এপ্রিলের শেষে ছিল আট শতাংশ। অর্থাৎ সেই সময় দেশে চাকরি হারিয়েছেন আরও মানুষ।

সিএমআইইয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত এপ্রিল মাসে ভারতের ১ লাখ ৭৫ হাজার পরিবারে সমীক্ষা চালিয়েছিল সিএমআইই। সমীক্ষায় উঠে এসেছে, মহামারীর পর ৩ শতাংশ পরিবারের আয় বেড়েছে। ৫৫ শতাংশ পরিবারের আয় কমেছে। আয় একই আছে ৪২ শতাংশ পরিবারের। আর সার্বিক মুদ্রাস্ফীতির নিরিখে মহামারীর সময় দেশের ৯৭ শতাংশ পরিবাবের আয় কমেছে।

সংবাদসংস্থা পিটিআইকে মহেশ ব্যাস জানিয়েছেন, পরিসংখ্যান থেকে ইঙ্গিত মিলছে যে, ওই সময় এক কোটির বেশি মানুষ চাকরি হারিয়েছেন। ‘মূলত’ করোনা দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে চাকরি হারাতে হয়েছে। অর্থনীতি স্বাভাবিক হতে শুরু করলে আংশিকভাবে সমস্যার সমাধান হবে। তবে সম্পূর্ণভাবে সেই সমস্যা মিটবে না।

সিএমআইইয়ের প্রধান নির্বাহী জানিয়েছে, ভারতীয় অর্থনীতিতে তিন-চার শতাংশ বেকারত্বের হার একেবারে ‘স্বাভাবিক’ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। তা থেকেই স্পষ্ট ইঙ্গিত যে অদূর ভবিষ্যতেও বেকারত্বের হারের খুব একটা উন্নতি হবে না।

করোনাভাইরাসের কারণে গত বছর মে’তে ভারতে বেকারত্বের রেকর্ড ২৩.৫ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছিল। লকডাউনের পরে অর্থনীতি কিছুটা গতি পেলে পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়। তবে ভারতে আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ, তাতে পরিস্থিতির আবারও অবনতি হয়েছে।