দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৫৭০তম দিনে ৩১ জনের মৃত্যুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৪৭০ জন। গতকাল মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ২৫।
আর নতুন করে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৩১০ জন। গত ৫ আগস্ট দেশে সর্বোচ্চ ২৬৪ জন রোগী মারা যায়। গত ২৮ জুলাই সর্বোচ্চ শনাক্ত হয় ১৬ হাজার ২৩০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ২৯ হাজার ১৮৬টি পরীক্ষায় এক হাজার ৩১০ জন এই ভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার চার দশমিক ৪৯ শতাংশ।
তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ০৬ শতাংশ।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৭১ লাখ ৩২ হাজার ৪৯০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ২৫ লাখ ৪৩ হাজার ৬৩৩টি নমুনা। অর্থাৎ, মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৯৬ লাখ ৭৬ হাজার ১২৩টি নমুনা। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৫৩ হাজার ৮৭৩ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ১৯৫ জনসহ মোট ১৫ লাখ ১৩ হাজার ৮৭৬ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৩১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে ১৭ জন পুরুষ ও ১৪ জন নারী। তাদের মধ্যে সবাই হাসপাতালে (সরকারিতে ২৭ জন ও বেসরকারিতে চারজন) মৃত্যু হয়েছে। তারাসহ মৃতের মোট সংখ্যা ২৭ হাজার ৪৭০ জন। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৭৭ শতাংশ।
এখন পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন ২৩ হাজার ৩৫৭ জন, যার শতকরা হার ৮৫ দশমিক ০৩ শতাংশ। বেসরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন তিন হাজার ৩০৯ জন, যার শতকরা হার ১২ দশমিক ০৫ শতাংশ। বাসায় ৭৭০ জন মারা গিয়েছেন, যার শতকরা হার দুই দশমিক ৮০। এছাড়াও মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন ৩৪ জন, যার শতকরা হার দশমিক ১২ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ১৭ হাজার ৬৩৫ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৬৪ দশমিক ২০ শতাংশ এবং নয় হাজার ৮৩৫ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ৩৫ দশমিক ৮০ শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ৩১ জনের মধ্যে এগারো থেকে বিশ বয়সী একজন, একুশ থেকে ত্রিশ বয়সী একজন, ত্রিশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব তিনজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব আটজন, ষাটোর্ধ্ব পাঁচজন, সত্তরোর্ধ্ব সাতজন ও আশিঊর্ধ্ব পাঁচজন।
আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে ১৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে পাঁচজন, রাজশাহী বিভাগে দু’জন, খুলনা বিভাগে পাঁচজন, বরিশাল বিভাগে দু’জন, রংপুর বিভাগে দু’জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে দু’জন।
করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২২২টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ২৩ কোটি ৩১ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৪৭ লাখ ৭১ হাজার মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন সাত কোটি ৯৯ লাখের বেশি।