কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৫২৪তম দিনে দেশে ১৭৮ জনের মৃত্যুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ৯৮৮ জন। এর আগে ৫ আগস্ট দেশে সর্বোচ্চ ২৬৪ জন রোগী মারা যায়।
এই সময়ে শনাক্ত হয়েছেন ছয় হাজার ৮৮৫ জন রোগী। গত ২৮ জুলাই সর্বোচ্চ শনাক্ত হয় ১৬ হাজার ২৩০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ৩৩ হাজার ৩৩০টি নমুনা পরীক্ষায় ছয় হাজার ৮৮৫ জন এই ভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
সরকারী ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৬১ লাখ ৯৪ হাজার ৯৩১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ২১ লাখ ৮০ হাজার ৫৮৯টি নমুনা। অর্থাৎ, মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৮৩ লাখ ৭৫ হাজার ৫২০টি নমুনা। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন ১৪ লাখ ১২ হাজার ২১৮ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় সাত হাজার ৮০৫ জনসহ মোট ১২ লাখ ৮১ হাজার ৩২৭ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ১৭৮ জন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে ১০৯ জন পুরুষ ও ৬৯ জন নারী। তাদের মধ্যে ১৭৪ জনের হাসপাতালে (সরকারিতে ১৩৯ জন, বেসরকারিতে ৩৫ জন) ও বাড়িতে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। তারাসহ মৃতের মোট সংখ্যা ২৩ হাজার ৯৮৮ জন। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৭০ শতাংশ।
এখন পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন ২০ হাজার ৫৭৭ জন, যার শতকরা হার ৮৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ। বেসরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন দুই হাজার ৬৮৫ জন, যার শতকরা হার ১১ দশমিক ১৯ শতাংশ। বাসায় ৬৯৭ জন মারা গিয়েছেন, যার শতকরা হার দুই দশমিক ৯১। এছাড়াও মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন ২৯ জন, যার শতকরা হার দশমিক ১২ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ১৫ হাজার ৮৪২ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৬৬ দশমিক ০৪ শতাংশ এবং আট হাজার ১৪৬ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ৩৩ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ১৭৮ জনের মধ্যে শূন্য থেকে দশ বছর বয়সী একজন, এগারো থেকে বিশ বয়সী একজন, একুশ থেকে ত্রিশ বয়সী চারজন, ত্রিশোর্ধ্ব ১২জন, চল্লিশোর্ধ্ব ১৩ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৪০ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ৬০ জন, সত্তরোর্ধ্ব ৩২ জন, আশি উর্ধ্ব ১৩ জন ও নব্বই উর্ধ্ব দু’জন।
আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে ৬৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৪ জন, খুলনা বিভাগে ২৩ জন, বরিশাল বিভাগে সাতজন, সিলেট বিভাগে ১১ জন, রংপুর বিভাগে ছয়জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে পাঁচজন।
করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ২০ কোটি ৭১ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন।এদের মধ্যে মারা গেছেন ৪৩ লাখ ৬১ হাজার মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১৮ কোটি ৫৭ লাখের বেশি।