কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৫৩৪তম দিনে দেশে ১১৭ জনের মৃত্যুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫ হাজার ২৮২ জন। গতকাল মৃত্যু ছিলো ১৩৯ জন। এর আগে গত ৫ আগস্ট দেশে সর্বোচ্চ ২৬৪ জন রোগী মারা যায়।
সোমবার শনাক্ত হয়েছেন পাঁচ হাজার ৭১৭ জন রোগী। গত ২৮ জুলাই সর্বোচ্চ শনাক্ত হয় ১৬ হাজার ২৩০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ৩৬ হাজার ৭৮৯ টি পরীক্ষায় পাঁচ হাজার ৭১৭ জন এই ভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৯০ শতাংশ।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৬৪ লাখ ৩৪ হাজার ২৬৪ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ২২ লাখ ৫২ হাজার ৪২ টি নমুনা। অর্থাৎ, মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৮৬ লাখ ৮৬ হাজার ৩০৬টি নমুনা। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন ১৪ লাখ ৬৭ হাজার ৭১৫ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় ৮ হাজার ৯৮২ জনসহ মোট ১৩ লাখ ৭২ হাজার ৮৫৬ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ১১৭ জন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে ৫৩ জন পুরুষ ও ৬৪ জন নারী। তাদের মধ্যে ১১৪ জনের হাসপাতালে (সরকারিতে ৯৭ জন, বেসরকারিতে ১৭ জন) ও বাড়িতে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। তারাসহ মৃতের মোট সংখ্যা ২৫ হাজার ৩৯৯ জন। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৭৩ শতাংশ।
এখন পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন ২১ হাজার ৬৭৮জন, যার শতকরা হার ৮৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ। বেসরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন দুই হাজার ৯৬০ জন, যার শতকরা হার ১১ দশমিক ৬৫ শতাংশ। বাসায় ৭২৮ জন মারা গিয়েছেন, যার শতকরা হার দুই দশমিক ৮৭। এছাড়াও মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন ৩৩ জন, যার শতকরা হার দশমিক ১৩ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ১৬ হাজার ৫৯০ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৬৫ দশমিক ৩২ শতাংশ এবং আট হাজার ৮০৯ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ৩৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ১৩৯ জনের মধ্যে শূন্য থেকে দশ বয়সী কেউ মারা যায়নি, ১১-২০ বছর বয়সী ১ জন, ২১-৩০ বছর বয়সী ১ জন, ত্রিশোর্ধ্ব ৯, চল্লিশোর্ধ্ব ৬ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ২৬ জন, ষাটোর্ধ্ব ৪১ জন, সত্তরোর্ধ্ব ২১ জন, আশি উর্ধ্ব ৯ জন ও নব্বই উর্ধ্ব ৩জন।
আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে ৪০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৯ জন, রাজশাহী বিভাগে ১০, খুলনা বিভাগে ১১ জন, বরিশাল বিভাগে ১ জন, সিলেট বিভাগে ১৩ জন, রংপুর বিভাগে ৯ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ৪ জন।
করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ২১ কোটি ২৬ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৪৪ লাখ ৪৬ হাজার মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১৯ কোটি ৩ লাখের বেশি।