দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৫৮৫তম দিনে ১৭ জনের মৃত্যুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৭৩০ জন। শনাক্তের হার কমে হয়েছে দুই দশমিক ৩৪ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ৫১৮ জন। গত ৫ আগস্ট দেশে সর্বোচ্চ ২৬৪ জন রোগী মারা যায়। গত ২৮ জুলাই সর্বোচ্চ শনাক্ত হয় ১৬ হাজার ২৩০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ২২ হাজার ১৫৩টি পরীক্ষায় ৫১৮ জন এই ভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার দুই দশমিক ৩৪ শতাংশ।
তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৬১ শতাংশ।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৭৩ লাখ ৪৯ হাজার ৭৩৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ২৬ লাখ ৭০ হাজার ৯৫৮টি নমুনা। অর্থাৎ মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ১ কোটি ২০ হাজার ৬৯৭টি নমুনা। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ২৫ হাজার ৬৭৩ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় ৫০৫ জনসহ মোট ১৫ লাখ ৬৪ হাজার ১৯ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ১৭ জন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে আটজন পুরুষ ও নয়জন নারী। তাদের মধ্যে সবাই হাসপাতালে (সরকারিতে ১৬ জন ও বেসরকারিতে একজন) মৃত্যু হয়েছে। তারাসহ মৃতের মোট সংখ্যা ২৭ হাজার ৭৩০ জন। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৭৭ শতাংশ।
এখন পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন ২৩ হাজার ৫৭৯ জন, যার শতকরা হার ৮৫ দশমিক ০৩ শতাংশ। বেসরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন তিন হাজার ৩৪২ জন, যার শতকরা হার ১২ দশমিক ০৫ শতাংশ। বাসায় ৭৭৫ জন মারা গিয়েছেন, যার শতকরা হার দুই দশমিক ৭৯। এছাড়াও মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন ৩৪ জন, যার শতকরা হার দশমিক ১২ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ১৭ হাজার ৭৬৮ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৬৪ দশমিক ০৮ শতাংশ এবং নয় হাজার ৯৬২ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ৩৫ দশমিক ৯২ শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ১৭ জনের মধ্যে চল্লিশোর্ধ্ব তিনজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব দু’জন, ষাটোর্ধ্ব নয়জন, সত্তোরঊর্ধ্ব একজন ও আশিঊর্ধ্ব দু’জন।
আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে ১৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে একজন, খুলনা বিভাগে দু’জন ও বরিশাল বিভাগে একজন।
করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২২২টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ২৩ কোটি ৯৫ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৪৮ লাখ ৮৩ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ২১ কোটি ৬৯ লাখের বেশি।