বাংলাদেশ যখন গত বছরের মার্চের পর থেকে করোনায় মৃত্যুশূন্য দিন দেখেছে, তখন নতুন করে শঙ্কা নিয়ে এসেছে ভাইরাসে নতুন ভ্যারিয়েন্ট। সাউথ আফ্রিকা ও বতসোয়ানায় করোনাভাইরাসের নতুন ধরন শনাক্ত হওয়ার পর এ নিয়ে জরুরি বৈঠকও ডেকেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর বলছে, নতুন এই ধরনটি হলো বি.১.১.৫২৯ সার্স–কভ–২। বিশেষজ্ঞরা যেটা ধারণা করছিলেন তার চেয়েও দ্রুত ছড়ায় ভাইরাসের এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট। এর সংক্রমণ ক্ষমতাও ডেলটার চেয়ে বেশি। এখন বড় সংশয় হচ্ছে- করোনার এই নতুন ধরনের বিরুদ্ধে টিকা কাজ করে কিনা। করোনার মহামারি ইতি টানার ক্ষেত্রেও বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে এসব ভ্যারিয়েন্ট।
বিশ্বব্যাপী যখন করোনার নতুন ধরনের বিষয়ে শঙ্কা বাড়ছে, তখন বাংলাদেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার গতি ক্রমেই নিম্নমুখী। এই অবস্থার অবসান না হলে দেশে আবারও সংক্রমণ বাড়তে পারে, যা কখনোই আমাদের কাম্য নয়। এজন্য মাস্ক পরাসহ যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই।
এটা অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে, করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল। প্রথম দিকে সেসব নিয়মাবলী মেনে চলার ক্ষেত্রে কিছুটা গাফিলতি দেখা গেলেও পরে নিয়ম মেনেছে সাধারণ জনগণ। এর ফলশ্রুতিতে মৃত্যুশূন্য দিনও দেখেছে বাংলাদেশ। নিয়ম মানার সেই ধারা এখনও অব্যাহত রাখতে হবে।
করোনার নতুন ধরন নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নজরদারি ও বিশ্লেষণ অব্যাহত রেখেছে বলেই আমরা আশা করি। একইসাথে ভাইরাস মোকাবেলায় সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকতে আমরা সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।