দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৬২৯তম দিনে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিনজন মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৯৭৩ জন। আর শনাক্তের হার ১ দশমিক ৪১ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় ছয় বিভাগে কেউ মারা যায়নি, পাশাপাশি দেশের ৩২ জেলায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত নেই।
নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ২৩৯ জন। গত ২০ নভেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো করোনায় মৃত্যুহীন দিন দেখে বাংলাদেশ। এর আগে গত ৫ আগস্ট দেশে সর্বোচ্চ ২৬৪ জন রোগী মারা যায়। গত ২৮ জুলাই সর্বোচ্চ শনাক্ত হয় ১৬ হাজার ২৩০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ১৬ হাজার ৯১৬টি পরীক্ষায় ২৩৯ জন এই ভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার এক দশমিক ৪১ শতাংশ। তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৭৭ লাখ ৪৪ হাজার ২৬৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৩০ লাখ ৭৪ হাজার ৫২১টি নমুনা। অর্থাৎ মোট পরীক্ষা করা হয়েছে এক কোটি আট লাখ ১৮ হাজার ৭৮৫টি নমুনা। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৭৫ হাজার ৪২৪ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় ২৭৭ জনসহ মোট ১৫ লাখ ৩৯ হাজার ৮৩০ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে তিনজন মারা গেছেন তাদের মধ্যে একজন পুরুষ ও দু’জন নারী। তাদের মধ্যে সবার হাসপাতালে (সরকারিতে তিনজন) মৃত্যু হয়েছে। তারাসহ মৃতের মোট সংখ্যা ২৭ হাজার ৯৭৩ জন। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৭৮ শতাংশ।
এখন পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন ২৩ হাজার ৭৮৪ জন, যার শতকরা হার ৮৫ দশমিক ০২ শতাংশ। বেসরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন তিন হাজার ৩৭৮ জন, যার শতকরা হার ১২ দশমিক ০৮ শতাংশ। বাসায় ৭৭৭ জন মারা গিয়েছেন, যার শতকরা হার দুই দশমিক ৭৮। এছাড়াও মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন ৩৪ জন, যার শতকরা হার দশমিক ১২ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ১৭ হাজার ৯০০ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৬৩ দশমিক ৯৯ শতাংশ এবং ১০ হাজার ৭৩ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ৩৬ দশমিক এক শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত তিনজনের মধ্যে এগারো থেকে বিশ বয়সী একজন, চল্লিশোর্ধ্ব একজন ও পঞ্চাশোর্ধ্ব একজন। আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে একজন ও খুলনা বিভাগে দু’জন।
করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২২২টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ২৬ কোটি চার লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৫২ লাখ দুই হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ২৩ কোটি ৫৪ লাখের বেশি।