করোনাভাইরাস মোকাবেলায় প্রস্তাবিত নতুন প্রস্তাবনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে ফ্রান্সের ১ লাখের বেশি মানুষ। কেবল রাজধানী প্যারিসেই ১৮ হাজার মানুষ ওই বিক্ষোভে অংশ নেয়।
ফ্রান্স কর্তৃপক্ষের বরাতে বিবিসি জানায়, নতুন ওই প্রস্তাবনার মাধ্যমে ভ্যাকসিন না নেয়া ব্যক্তিদের উপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করবে ফ্রান্স সরকার। নিষিদ্ধ করা হবে তাদের অবাধ চলাফেরা।
গত বৃহস্পতিবার ফ্রান্সের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে এ প্রস্তাবনার খসড়া বিল উত্থাপন করা হয়। সেখানে বিলটি থেকে কোনো পাবলিক পরিসরে যাওয়ার ক্ষেত্রে ব্যক্তির করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট সাথে রাখার বিষয়টি বাদ দেয়া হয়েছে।
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভকারীরা নতুন এই করোনা প্রস্তাবনা পাস না করার জন্য প্ল্যাকার্ড নিয়ে সমবেত হয়। বিক্ষোভকালে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে আহত হয় ১০ জন পুলিশ। এ ঘটনায় ৩৪ জন বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়।
ইতোপূর্বেই ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, দেশটিতে যারা এখনো করোনার ভ্যাকসিন গ্রহণ করেনি, তাদের জোর করে ভ্যাকসিন দেবেন না। তবে তাদের জীবনকে কঠিন করে দেবেন। বিরোধী দল এবং বিক্ষোভকারীরা তার এই বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে জানায়, সরকার এই প্রস্তাবনা গ্রহণের মাধ্যমে জনগণের স্বাধীনতা খর্ব করছে এবং নাগরিকদের সাথে অসম আচরণ করছে।
সম্প্রতি করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন যে কয়েকটি দেশে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, তাদের অন্যতম ফ্রান্স। গত শুক্রবার দেশটিতে এক সপ্তাহে দ্বিতীয়বারের মতো ৩ লাখের বেশি মানুষ নতুনভাবে করোনা আক্রান্ত হচ্ছে। বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যাও।
সেদেশের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে আইসিইউতে ভর্তি ৮৫ শতাংশ করোনা রোগী ভ্যাকসিন গ্রহণ করেননি।
করোনার এই দাপট থেকে দেশের জনগণকে রক্ষা করতে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানায় ফ্রান্স সরকার। সরকার আশা করছে জানুয়ারির ১৫ তারিখের মধ্যেই বিলটি কার্যকর করা যাবে।