চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

করোনাভাইরাস: ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ৪০১৪, মৃত ৪৫

দেশে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের ১১৪তম দিনে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ১৪ জনের দেহে করোনাভাইরাস এর উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৪৫ জন মারা গেছেন। এসময়ে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৫৩ জন।

সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এসব তথ্য জানান।

ডা. নাসিমা বলেন: গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৪ হাজার ৪১৩টি। আগের কিছু সহ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৭ হাজার ৮৩৭টি। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ৭ লাখ ৪৮ হাজার ৩৪টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৫০ শতাংশ।

তিনি বলেন: নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও ৩ হাজার ৮০৯ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত হয়েছেন ১ লাখ ৪৮ হাজার ৮০১ জন। মোট আক্রান্ত শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৪৩ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ৭৮৩-এ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৬ শতাংশ।

তিনি আরও বলেন: গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ৫৩ জন। সবমিলিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫৭ হাজার ৭৮০ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪০ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

ডা. নাসিমা বলেন: যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে ৩৬ জন পুরুষ ও ৯ জন নারী। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারী ৩৪ জনের বয়স বিশ্লেষণে দেখা গেছে ২১ থেকে ৩০ বছরের ২ জন, ত্রিশোর্ধ্ব ৩ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ৭ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১১ জন, ষাটোর্ধ্ব ১৪ জন, সত্তরোর্ধ্ব ৬ জন এবং আশি বছরের বেশি ২ জন।

তাদের মধ্যে ২২ জন ঢাকা বিভাগের, ১০ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৫ জন খুলনা বিভাগের, রাজশাহী ও ময়মনসিংহে ১ জন করে এবং সিলেট ও বরিশালে বিভাগে ৩ জন করে। যে ৪৫ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে ৩০ জন হাসপাতালে এবং ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বাসায়।এছাড়া মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছে ১ জন।

তিনি জানান: গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে আরও ১০২৮ জনকে এবং বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন ১৪ হাজার ৯৪২ জন। মোট আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে ২৫ হাজার ৮৩৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৬০৯ জন এবং এ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ১০ হাজার ৮৯৬ জন।

ডা. নাসিমা বুলেটিনে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন। বলেন, অনেক জায়গায় দেখা যাচ্ছে তরুণরা মাস্ক পরছেন না, স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই ধূমপান করছেন। তাদের অনুরোধ করবো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। সবাই সচেতন থেকে নিজে সুস্থ থাকুন, পরিবারকে সুস্থ রাখুন।

চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ২৫ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৫ লাখ ৪ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৫৫ লাখ ৬৩ হাজারের বেশি মানুষ।

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে বিভিন্ন মেয়াদে ছুটি বাড়িয়ে সর্বশেষ ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। দেশের ইতিহাসের দীর্ঘ এ ছুটির পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৩১ মে থেকে অফিস-আদালত খোলা হয়েছে। এছাড়াও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে চালু হয়েছে গণপরিবহনও।