ভারতের কেন্দ্রীয় শিক্ষা দপ্তরের পথে হেঁটে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারও আগামী বছর ১ম থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ঢালাও পাস করানোর ঘোষণা দিয়েছে।
এছাড়াও নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের দূরশিক্ষার মাধ্যমে পঠন-পাঠন চালু রাখা যায় কি না- তা নিয়েও রাজ্য শিক্ষা দপ্তর চিন্তা-ভাবনা করছে বলে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ বিকাশ মন্ত্রীর দেখানো পথে বিনা পরীক্ষাতেই আগামী বছর ১ম থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীকে উত্তীর্ণ ঘোষণা করেছে রাজ্য শিক্ষা দপ্তর।
বৃহস্পতিবার এই কথা ঘোষণা করেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
বুধবারই সিবিএসই পাঠ্যক্রমের ১ম থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত সব পড়ুয়াকে উত্তীর্ণ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী।
তবে রাজ্যের বার্ষিক পরীক্ষা হয়েছে আগেই। নতুন শিক্ষাবর্ষে ক্লাসও শুরু হয়ে গিয়েছে। তাই আগামী শিক্ষাবর্ষে সবাইকে উত্তীর্ণ বলে ঘোষণা করেন শিক্ষামন্ত্রী।
এছাড়া নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের দূরশিক্ষার মাধ্যমে পঠন-পাঠন চালু রাখা যায় কি না তা নিয়ে শিক্ষা দপ্তর ভাবনা চিন্তা করছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
করোনা সংক্রমণের জেরে গত ১৬ মার্চ থেকে স্কুলে বন্ধ রয়েছে পঠন-পাঠন। আপাতত ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত পঠন-পাঠন বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা দপ্তর। তারপর পরিস্থিতি বুঝে স্কুল খোলার দিনক্ষণ ঠিক করা হবে। কিন্তু সে সবের আগেই ঢালাও পাসের ঘোষণায় প্রশ্ন তুলছেন শিক্ষকমহলের একাংশ।
শিক্ষকদের একাংশের দাবি, করোনার জেরে পঠন-পাঠন বন্ধ থাকায় পাঠ্যক্রমে পড়ুয়ারা পিছিয়ে পড়়েছে ঠিকই, কিন্তু ছুটি কমিয়ে বছরের বাকি সময়ে তা পূরণ করে নেওয়া যেত। কারণ হাতে এখনো বেশ কিছুটা সময় রয়েছে। তাই অপেক্ষা না করে আগাম এই ঘোষণাকে ছেলে ভোলানো ছল বলেই মনে করছেন তারা।