কোভিড ১৯ আক্রান্তদের সংস্পর্শে যাওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউসে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় গঠিত টাস্কফোর্সের তিন সদস্যকে সেলফ আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে।
এদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ এবং করোনা মোকাবেলায় যিনি সামনে থেকে নেতৃত্বে দিচ্ছেন, সেই ড. অ্যান্থনি ফৌসিও রয়েছেন।
তবে অ্যান্থনি ফৌসি তুলনামূলক কম ঝুঁকিতে আছেন বলে নিশ্চিত করেছে তার পরিচালিত প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস।
ওই ইনস্টিটিউটের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, ৭৯ বছর বয়সী এই সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ আপাতত নিজ বাড়িতে থেকে অনলাইনে কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন। এসময় তার মাস্ক ব্যবহার করার প্রয়োজন আছে নিয়মিত।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের মতো ফৌসিরও প্রতিদিন করোনাভাইরাস টেস্ট করা হতো। এখন পর্যন্ত তার করোনা টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ।
অ্যান্থনি ফৌসির পাশাপাশি আইসোলেশনে যাওয়া টাস্কফোর্সের অপর দুই সদস্য হচ্ছেন সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের পরিচালক রবার্ট রেডফিল্ড এবং খাদ্য ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কমিশনার স্টিভেন হ্যান। তাদেরকে সব নিয়ম মেনেই পুরোপুরি আইসোলেশনে থাকতে হবে।
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের প্রেস সচিব কেটি মিলার করোভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার পরদিনই সংস্পর্শে যাওয়া অন্যদেরও এই আইসোলেশনের খবর আসলো।
ফৌসির সঙ্গে টানাপোড়েনে সম্প্রতি ‘করোনা টাস্কফোর্স’ ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন ট্রাম্প। একদিন পরই অবস্থান থেকে সরে আসেন তিনি।
চীনে শুরু হলেও যুক্তরাষ্ট্র করোনাভাইরাসের প্রধান কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। দেশটিতে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ১৩ লাখ ৪৭ হাজার ৩১৮ আর মারা গেছেন ৮০ হাজার ৪০ জন।