বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনীর ২ হাজার ৭৮৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৪৬১ জন এবং মারা গেছেন ১৭ জন।
রোববার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আন্তঃবাহিনীর জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়: সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত ২ হাজার ৫৭ জন, পরিবারের ১৮৮ জন এবং সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেসামরিক ও অন্যান্য ৫৪৩ জনসহ মোট ২ হাজার ৭৮৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এরমাঝে এক হাজার ৩১০ জন সিএমএইচ-এ চিকিৎসাধীন রয়েছেন ও এক হাজার ৪৬১ জন সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন। এবং হাসপাতালে ভর্তিরত সকল রোগী সুস্থ আছেন। এই পর্যন্ত ১৭ জন রোগী মৃত্যু বরণ করেন। এরমধ্যে ৬০ বছর ঊর্ধ্বে অবসরপ্রাপ্ত ১৪ জন এবং ৩ জন কর্মরত সামরিক/অসামরিক সদস্য যারা প্রত্যেকেই দীর্ঘদিন যাবত অনিরাময় যোগ্য বিভিন্ন শারীরিক অসুস্থতায় ভুগে মৃত্যুর সময় কোভিড-১৯ এ সংক্রমিত হয়েছিলেন।
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর কর্মরত সকল সদস্য, তাদের পরিবারবর্গ ও অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদের কোভিড-১৯ এর নমুনা পরীক্ষার জন্য আর্মড ফোর্সেস ইন্সটিটিউট অব প্যাথলজি (এএফআইপি) সহ সকল সিএমএইচ-এ মোট ১৩টি ‘আরটি-পিসিআর’ মেশিন প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। এছাড়া সকল সিএমএইচ-এ পর্যাপ্ত পরিমাণ পিপিই, মাস্ক, গ্লোভস এবং প্রয়োজনীয় ঔষধাদিসহ আনুষাঙ্গিক চিকিৎসা সরঞ্জামাদি মজুদ আছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়: এখন পর্যন্ত সামরিক বাহিনীর পিসিআর ল্যাবরেটরিতে সশস্ত্র বাহিনীর ১০ হাজার ৩৭৮ জন, পরিবারের ২ হাজার ১২০ জন এবং বেসামরিকসহ অন্যান্য ৪ হাজার ৬৫৩ জন সদস্যের মোট ১৭ হাজার ১৫১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রণীত সকল স্বাস্থ্য বিধি মেনে কোভিড-১৯ সংক্রমিত রোগীদের সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষিত চিকিৎসক দ্বারা সার্বক্ষণিক চিকিৎসা নিশ্চিত করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিন অনুসারে, দেশে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৫ হাজার ৭৬৯ জন। মারা গেছেন ৮৮৮ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৩ হাজার ৯০৩ জন।
চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ৬৯ লাখ ৯৪ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৪ লাখ ২ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৩৪ লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষ।
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে বিভিন্ন মেয়াদে ছুটি বাড়িয়ে সর্বশেষ ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। দেশের ইতিহাসের দীর্ঘ এ ছুটির পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৩১ মে থেকে অফিস-আদালত খোলা হয়েছে। এছাড়াও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে চালু হয়েছে গণপরিবহনও।