করোনাভাইরাসের আক্রমণ থেকে শ্রমিক ও কর্মকর্তাদের সুরক্ষা এবং সব ধরনের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে ৪ এপ্রিলের পর থেকে কারখানা পরিচালনা করতে পারবে মালিকেরা।
সেক্ষেত্রে অবশ্যই শ্রমিকের সব দায়-দায়িত্ব কারখানা মালিককে বহন করতে হবে।
বৃহস্পতিবার নিট পোশাক কারখানা মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায়।
এতে কারখানা মালিকদের উদ্দেশে বলা হয়, সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে শ্রমিকদের জমায়েত কমাতে ও তাদের যাতায়াতের অসুবিধার কথা বিবেচনায় রেখে বিকেএমইএ’র সদস্যভুক্ত সব নিট পোশাক কারখানা ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখার বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছিল।
কিন্তু সরকার সাধারণ ছুটি ৯ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়েছে। এক্ষেত্রে ৪ এপ্রিলের পর থেকে কারখানা বন্ধের বিষয়ে বিকেএমইএ নতুন করে সময় বাড়াবে না। তাই ৪ এপ্রিলের পর থেকে কারখানা পরিচালনা করবেন কিনা তা একান্তই আপনার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। যদি কারখানা পরিচালনা করেন, সেক্ষেত্রে অবশ্যই করোনা ভাইরাসের আক্রমণ থেকে শ্রমিক ও কর্মকর্তাদের রক্ষা করার জন্য সব স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে কারখানা পরিচালনা করতে হবে। এক্ষেত্রে শ্রমিকের সব দায়-দায়িত্ব বহন করতে হবে।
বিকেএমইএ বলেছে, যদি কাজের ক্রয়াদেশ থাকে সেক্ষেত্রে কারখানা কার্যক্রম পরিচালনা করতে সমস্যা নেই। অর্থাৎ ৪ এপ্রিল পর্যন্ত কারখানা বন্ধ রাখার যে নির্দেশনা বিকেএমইএ দিয়েছিল সেটা ৪ এপ্রিলে পর থেকে থাকছে না। তবে কারখানা পরিচালনার বিষয়টি অবশ্যই আপনার একান্ত ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত হবে। কারখানা পরিচালনাকালীন সময়ে যেমনভাবে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে চলতে হবে, ঠিক তেমনি ভাবে ছুটির পরে ফ্যাক্টরি খােলার সময় অবশ্যই শ্রমিক/কর্মকর্তাসহ সবার মেডিক্যাল চেকআপ করে কোনাে রােগ না থাকার বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে হবে।
এছাড়া শ্রমিকদের হ্যান্ড গ্লাভস পরিধান করা, বারবার সাবান বা হ্যান্ড সেনিটাইজার দিয়ে হাত পরিস্কার করা এবং বর্তমান ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
শ্রমিকদের মজুরির বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কারখানা খােলা বা বন্ধ যে সিদ্ধান্তই গ্রহণ করুন না কেন, সব শ্রমিকদের মার্চের বেতন অবশ্যই সময়মত পরিশোধ করতে হবে। এতে কোনো ব্যাত্যয় ঘটানো যাবে না। প্রয়ােজনে আপনার ব্যাংকের সাথে অগ্রিম যােগাযােগ করে ব্যাংকের সহায়তা নিবেন। শ্রমিক অসন্তোষ যাতে সৃষ্টি না হয় সেদিকে সজাগ থাকতে হবে।
তবে যদি কারখানা বন্ধ রাখতে চান সেক্ষেত্রে ছুটিকালীন সময়ে কারখানার শ্রমিকরা যে যেখানে অবস্থান করছে সে যেন সেখানেই অবস্থান করে তা পুনরায় নিশ্চিত করতে হবে। তাদেরকে বুঝতে হবে, এটা কোনাে ঈদ বা উৎসবের ছুটি নয়। তাই যে যেখানে অবস্থান করে, তাকে সেখানেই থাকতে হবে।
আর যদি কারখানা বন্ধ রাখতে চান তা অবশ্যই শ্রম আইন অনুযায়ী করতে হবে। তবে কারখানা বন্ধ করার বিষয়টি সর্বপ্রথম লিখিতভাবে বিকেএমইএ-কে জানাতে হবে। আইনের কোন ধারা অনুযায়ী কারখানা বন্ধ করতে হবে অথবা কোন ধারা কারখানার জন্য প্রযােজ্য হবে, তা জেনে নিয়ে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। কোনাে অবস্থাতেই বিকেএমইএ-কে অবহিত না করে বা বিকেএমইএ থেকে সিদ্ধান্ত না নিয়ে কারখানা বন্ধ করা যাবে না বলে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে বিকেএমইএ।