চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

করোনাভাইরাস: শনাক্ত কমলেও সচেতনতা জরুরি

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে না আসলেও কিছুটা স্বস্তির খবর মিলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের সংখ্যা কমে বেড়েছে সুস্থতার সংখ্যা। রোববার দুপুর পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা: ৩২। এর আগের সংখ্যা আরও বাড়তির দিকে ছিল।

এমন পরিসংখ্যান স্বস্তি দিলেও এখানে আত্মতৃপ্তির কোনো সুযোগ নেই। রাজধানীসহ বিভিন্ন জায়গায় মাস্কের ব্যবহার নেই বললেই চলে। এ বিষয়ে অসচেতনতা ও গাফিলতি প্রবল। এরপরও যে শনাক্ত কমে সুস্থতার হার বাড়ছে তাকে সুখবর হিসেবেই ধরা যায়।

প্রতিবেশী দেশ ভারতের দিকে তাকালেও করোনার করুণ প্রেক্ষাপট লক্ষ্য করা যায়। একদিনে সর্বোচ্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্তের রেকর্ড গড়েছে ভারত। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯০ হাজার ৬০০ জন শনাক্ত হয়েছে। আর মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৪৪ জনের।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ৪ আগস্ট থেকে বিশ্বে দৈনিক সবচেয়ে বেশি কোভিড রোগী শনাক্ত হচ্ছে ভারতে। মোট রোগীর সংখ্যার দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের পরই ভারতের অবস্থান।

পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে আমাদেরও শিক্ষা নিতে হবে। সঙ্গে প্রয়োজন সচেতনতা। নয়তো প্রতিবেশি দেশ হিসেবে আমাদেরও একই পরিণামের শঙ্কা থেকে যায়।

এই শঙ্কা আরও বাড়িয়ে তোলে একটি গবেষণা। বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) জিনোমিক রিসার্চ ল্যাবরেটরির গবেষক দল জানায়, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসটি অনেক দ্রুতগতিতে রূপ পরিবর্তন করছে। বিশ্বে করোনাভাইরাসের রূপান্তরের হার ৭ দশমিক ২৩ শতাংশ, সেখানে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস রূপান্তরের হার ১২ দশমিক ৬০ শতাংশ।

এসব বিষয় আমলে নিয়ে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় আরও সচেতনভাবে সর্বাত্মক যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে। কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন শুরুতেই প্রাপ্তির ক্ষেত্রেও যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করার বিকল্প নেই। তবে ভ্যাকসিন যেহেতু এখনও আবিষ্কার হয়নি, তাই করোনা প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়িয়ে যথাযথ নিয়ম মানতে আমরা সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।