করোনাভাইরাস শনাক্তের হার গত দু’দিন নিম্নমুখী থাকলেও দেশে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের ১৯১তম দিনে তা আবারও বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১২.৭৫ শতাংশ। এর আগের দু’দিন এ সংখ্যা ছিল ১১.৩৫ এবং ১১.৯৬ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১ হাজার ৮১২ জনের দেহে করোনাভাইরাস এর উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ২৬ জন মারা গেছেন। এসময়ে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৫১২ জন।
সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, নতুন করে ১৩ হাজার ৮৪৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয়েছে ১৪ হাজার ২১৬টি। এ নিয়ে দেশে মোট ১৭ লাখ ৪২ হাজার ৬৯৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হলো।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও ১ হাজার ৮১২ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৩৩২ জন। মোট পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণ শনাক্তের হার ১৯.৪৭ শতাংশ। নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন ২৬ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৪ হাজার ৭৫৯। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যু হার ১.৪০ শতাংশ।
তবে এ সময়ে সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ৫১২ জন। সবমিলিয়ে সুস্থ হওয়ার সংখ্যা ২ লাখ ৪৩ হাজার ১৫৫। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭১.৬৬ শতাংশ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, মৃত ২৬ জনের মধ্যে ২২ জন পুরুষ ও ৪ জন নারী। মৃতদের মধ্যে ২৫ জন হাসপাতালে মারা গেছেন, ১ জন মারা গেছেন বাড়িতে। এখন পর্যন্ত পুরুষ ৩ হাজার ৭০৮ জন মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৭৭.৯২ শতাংশ এবং ১ হাজার ৫১ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা ২২.০৮ শতাংশ।
চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৯২ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৯ লাখ ২৮ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ২ কোটি ১০ লাখের বেশি।
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে বিভিন্ন মেয়াদে ছুটি বাড়িয়ে সর্বশেষ ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ছিল। দেশের ইতিহাসে দীর্ঘ এ ছুটির পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৩১ মে থেকে অফিস-আদালত খোলা হয়েছে। এছাড়াও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে গণপরিবহনও।