মহামারী করোনাভাইরাসের কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠা যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলে কমে এসেছে ভাইরাসের প্রকোপ। গত কয়েকদিন ধরে করোনার শীর্ষ দেশ দুটিতে সংক্রমণ ও মৃত্যু উভয়ই অনেকটা কমে এসেছে। বিপরীতে করোনা মহামারীর কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে ভারত।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য বলছে, এক সময় যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিনই আক্রান্ত হয়েছে ৬০-৭০ হাজার করে। গত কয়েকদিন তা অনেকটাই নিচে নেমে এসেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছে ২৫ হাজার ৩২৫ জন আর মারা গেছে ২৮৬ জন। দুদিন আগে আক্রান্তের সংখ্যা ছিলো ৩১ হাজার ১১০ জন, একই দিন মৃতের সংখ্যা ছিলো ৪৩০ জন। যুক্তরাষ্ট্রে কিছুদিন আগেও দৈনিক মৃত্যু দেড় থেকে দুই হাজারের উর্ধ্বে ছিলো।
যুক্তরাষ্ট্রে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৪ লাখ ৬০ হাজার ২৫০ জন। আর মারা গেছে ১ লাখ ৯৩ হাজার ২৪৮ জন। আক্রান্ত ও মৃত্যু দুটাতেই অবশ্য এখনও বিশ্বে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের পর করোনার সবচেয়ে ভয়াবহ স্থানে পরিণত হয় ব্রাজিল। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে ল্যাটিন আমেরিকার দেশটিতেও করোনার প্রকোপ হ্রাস পেতে শুরু করেছে।
গত একদিনে আক্রান্ত হয়েছে ১০ হাজার ১৮৮ জন এবং মারা গেছে ৩১৫ জন। দুদিন আগে এ সংখ্যাটি ছিলো যথাক্রমে ১৪ হাজার ৬০৬ জন(আক্রান্ত) এবং ৪৫৬ জন (মৃত্যু)। ব্রাজিলে মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৪১ লাখ ৪৭ হাজার ৭৯৪ জন এবং মারা গেছে ১ লাখ ২৭ হাজার।
ব্রাজিল ও যুক্তরাষ্ট্রে কমলেও করোনার কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে ভারত। দেশটিতে গত কয়েকদিন টানা ৯০ হাজারের উর্ধ্বে আক্রান্ত হয়েছে। যা বিশ্ব রেকর্ড। মারাও যাচ্ছে হাজারের উপরে। এরই মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যায় ব্রাজিলকে পেছনে ফেলে শীর্ষ দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে ভারত। একদিন আগেও ভারতে ৯১ হাজারের অধিক মানুষ আক্রান্ত হয়। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় সে সংখ্যাটি অনেকটা কমে এসেছে। গতকাল আক্রান্ত হয়েছে ৭৫ হাজার ২২ জন এবং মারা গেছে ১ হাজার ১২৯ জন।
মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪২ লাখ ৭৭ হাজার ৫৮৪ জন। মোট মৃত্যু হয়েছে ৭২ হাজার ৮১৬ জন।
গত একদিনে বিশ্বব্যাপী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৬৮৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৮৪৬ জন।
বিশ্বব্যাপী মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এখন ২ কোটি ৭৪ লাখ ৮৫ হাজার ৪২৪ জন এবং মোট মৃত্যু হয়েছে ৮ লাখ ৯৬ হাজার ৮৪২ জন। আর সুস্থ হয়ে উঠেছে ১ কোটি ৯৫ লাখ ৮৬ হাজার ৮৬০ জন।
বিশ্বের প্রায় অধিকাংশ দেশ এরই মধ্যে লকডাউন স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়াধীন। করোনার ঝুঁকি সত্ত্বেও অর্থনৈতিক সংকট এড়ানোর প্রয়োজনে অনেক দেশ ইতোমধ্যে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে। বিশ্ববাসী আশা করছে দ্রুত একটা কার্যকর ভ্যাকসিনের।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, আগামী বছরের মাঝামাঝি পর্যন্ত গণহারে কার্যকর ও নিরাপদ ভ্যাকসিন পাচ্ছে না বিশ্ব।