চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

করোনাভাইরাস: যুক্তরাষ্ট্রে আবার খুলতে শুরু করেছে কিছু রাজ্য

করোনাভাইরাসের বিস্তৃতির মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি রাজ্যে বেশ কিছু দোকান আবার খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। দেশটিতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এরই মধ্যে প্রাণ হারিয়েছে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ।

শুক্রবার জর্জিয়া ও ওকলাহামাতে সেলুন ও স্পা খুলে দেওয়া হয়েছে আর আলাস্কাতে রেস্টুরেন্টগুলোর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা ‍তুলে নেওয়া হয়েছে।

তিনটি রাজ্যে পুনরায় খুলে দেওয়া ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে গ্রাহকরা যাচ্ছেন। সেখানে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করেই কাজ চলবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে কিছু শহর ও এলাকা এখনো লকডাউন অব্যাহত রেখেছে।

জর্জিয়াতেই সবচেয়ে কম সময়ে সবকিছু খুলে দেওয়া হয়েছে। সেখানে খেলার মাঠ, স্পা, হেয়ার অ্যান্ড নেইল সেলুন, ট্যাটু পার্লার এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত যত্নের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা হচ্ছে। সোমবার থেকে সেখানে খাবার রেস্টুরেন্ট এবং থিয়েটারও খোলা রাখা হবে।

মধ্য মার্চ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ২৬ মিলিয়ন বা জনসংখ্যার ১৫ শতাংশ মানুষ বেকার হবে উল্লেখ করে অনেক রাজ্য ব্যবসা চালু করার চাপ অনুভব করছে। কিন্তু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পদক্ষেপ খুব দ্রুতই নেওয়া হলো। এর ফলে আবার ভাইরাস সংক্রমণের ঢেউয়ের আশঙ্কা থাকছে।

শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাধারণ দিনের তুলনায় খুব ছোট ব্রিফিং করেন। সেখানে কোনো প্রশ্নও নেননি তিনি। মানুষের শরীরে গৃহকর্মে ব্যবহৃত জীবাণুনাশক ইনজেকশন করা উপকারী হতে পারে বলে মন্তব্য করে সমালোচিত হয়েছেন তিনি।

তার এমন বক্তব্য ডাক্তার ও উৎপাদনকারীদের দ্বারা ব্যাপক সমালোচিত হয়েছে। তাদের মতে জীবাণুনাশকগুলো বিপজ্জনক পদার্থ এবং ত্বক, চোখ ও শ্বাসযন্ত্রের জন্য খুবই ক্ষতিকর হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বিবিসি বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৩ হাজার জনসহ দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা ৫২ হাজার ১৮৫ জন। করোনাভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রে নিশ্চিত আক্রান্তের সংখ্যা ৯ লাখ ২৫ হাজারেরও বেশি। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যাও এখানেই।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। পরে বিশ্বব্যাপী সেটা মহামারী রূপ ধারণ করে। বর্তমানে সারাবিশ্বে এই ভাইরাসে আক্রান্ত ২৮ লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ। আর প্রাণ হারিয়েছে প্রায় দুই লাখ মানুষ।