করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বব্যাপী বন্ধ রয়েছে প্রায় প্রতিটি দেশের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট। এতে আর্থিক ক্ষতি গুনতে হচ্ছে ফ্লাইট পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে। সেই ক্ষতি হ্রাসে ফ্লাইটেও যাত্রীদের মধ্যে সামাজিক দুরত্ব বজায়ে রেখে ১৮০ জনের পরিবর্তে ১২০ জন অর্থাৎ দুই তৃতীয়াংশ যাত্রী নিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করার পরিকল্পনা করেছে উইজ এয়ার।
মঙ্গলবার উইজ এয়ারের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
করোনাভাইরাসের কারণে তাদের ক্ষতি কমাতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা শেষে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে ওই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
উইজ-এর চিফ এক্সিকিউটিভ এবং গ্লোবাল এয়ারলাইন ট্রেড বডি আইএটিএর প্রধান জোসেফ বারাদি বলেছেন, “সামাজিক দূরত্ব” বজায়ে রেখেই ফ্লাইটের সিট সাজানো হবে। যাতে করে একজনের পাশের দুই সিট ফাঁকা থাকে।
এই জন্যে সিট কমে ১৮০ থেকে ১২০ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে এক সাক্ষাৎকারে বারাদি এ কথা জানিয়েছেন।
“লকডাউন এবং ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এয়ার ভ্রমণকে একটি স্থবির স্থানে নিয়ে এসেছে, গভীর অনিশ্চয়তায় ফেলে দিয়েছে, এই লোকসান কমাতেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।”
ইতিমধ্যে করোনার কারণে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ও লকডাউনের কারণে প্রায় ৩১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ক্ষতি হয়েছে।
জেনেভা ভিত্তিক একটি সংস্থার প্রধান নির্বাহী আলেকজান্দ্রি দে জুনিয়াক বলেছেন, এয়ারের মধ্য আসনটি শূন্য রাখা শর্তে বিশ্বব্যাপী সমন্বিত বৈঠকে ভ্রমণ আবার শুরু করার কথা ছিল। তবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ছোট এয়ারক্রাফটগুলো।
হাঙ্গেরি ভিত্তিক লন্ডনের উইজ এয়ার সংস্থা ইতিমধ্যে তাদের ১০০০ হাজার কর্মীকে ছাটাই করেছে।
উইজ এয়ারক্রাফটের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যাত্রীদের নিজেদের সুরক্ষা এবং অন্যদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে।