করোনাভাইরাস সংক্রমণের খবর পেয়ে এলাকার অসহায় জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে ঢাকায় বসে থাকতে পারেননি ভোলা-৩ (লালমোহন-তজুমদ্দিন) আসনের সরকারদলীয় সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) জসিম উদ্দিন। প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও কর্মহীন অসহায় মানুষদের বাড়ি গিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সস্ত্রীক খাবার বিতরণ করছেন তিনি।
করোনাভাইরাসের কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো ভোলার লালমোহন-তজুমদ্দিনও বলতে গেলে বিচ্ছিন্ন। সংক্রমণ প্রতিরোধে মানুষকে ঘরে থাকা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিতে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন। এ কাজে সহায়তা করছে নৌবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
এমন প্রেক্ষাপটে উপকূলীয় এ এলাকার লাখ লাখ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ে। এতে দেখা দেয় খাবার সংকট। লালমোহন-তজুমদ্দিনবাসীর এমন দুর্দিনে সবার আগে এগিয়ে এসেছেন সাবেক এই সাংসদ। এরই অংশ হিসেবে নেতাকর্মীদের নিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বিভিন্ন এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে তিনি সাধ্যমতো খাবার বিতরণ করে আসছেন।
মেজর (অব.) জসিম উদ্দিন বলেন: করোনাভাইরাসের এমন দুর্যোগময় মুহূর্তে জনগণের ঘরে থাকা জরুরি। কিন্তু এ এলাকা দেশের অন্যান্য স্থানের চেয়ে ভিন্ন। লালমোহন-তজুমদ্দিন নদীমাতৃক। জেলেসহ এখানকার খেটে খাওয়া মানুষ সাধারণ ছুটিতে খুব কষ্টে আছেন। তারা খাবারের সংকটে আছেন। এমন অবস্থায় সাধারণ মানুষের কষ্টে আমি আমার সাধ্যমতো এগিয়ে আসার চেষ্টা করেছি। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অসহায় মানুষদের ঘরে খাবার পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন: আমি একজন সৈনিক। এছাড়া শেখ হাসিনার একজন কর্মী। সুতরাং মানুষের এমন বিপদের দিনে আমি ঘরে বসে থাকতে পারি না। লালমোহন-তজুমদ্দিনের মানুষের কাছে আমার একটাই অনুরোধ, ভয় করবেন না। ভয় মানুষের মনোবল ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে ফেলে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করে করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করুন। ঘরে থাকুন। খাবারের অভাব হবে না। প্রয়োজনে পৌঁছে যাবে। আর আমি আমার সাধ্যমতো সেই চেষ্টাই করছি।