ভারতে প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) এ আক্রান্তের সংখ্যা। এরইমধ্যে ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত এবং মৃতের হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়াকে ছাপিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে দেশটি। ভারতে একদিনে করোনায় প্রাণহানি ঘটেছে ৬১০ জনের এবং আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ হাজার ১৫ জন।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েকমাস যাবৎ ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল শীর্ষে অবস্থান করছে। দেশটিতে ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে ১ হাজার ১১ জন, আক্রান্ত ৩৫ হাজার ৩৫ জন। এরপর মৃত্যুর মিছিলে এগিয়ে আছে মেক্সিকো। সেখানে মৃত্যু ৬৫৪ জন মারা গেছেন, তবে আক্রান্তের হার কিছুটা কমে ৬ হাজার ৭৪০ জন হয়েছে। এরপরে ভারতের অবস্থান।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুসারে, বর্তমানে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লাখ ৭৩ হাজার ৯০৪ জন। আক্রান্তের হিসেবে রাজ্যগুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, দিল্লি ও গুজরাট।
আক্রান্তের পাশাপাশি মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে ভারতে। মোট মৃত্যুর হিসেবে চীন ও রাশিয়াকে আগেই টপকে গিয়েছিল ভারত। এখন পর্যন্ত মারা গেছে ১৯ হাজার ২৭৯ জন।
ভারতে করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত রাজ্য মহারাষ্ট্র। এখানে মোট ১ লাখ ৯২ হাজার ৯৯০ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এখানে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৩৭৬। করোনা সংক্রমণের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু। এখানেও আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়েছে। গত একদিনে এখানে আরও ৪ হাজার ৩২৯ জনের করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। এ রাজ্যে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৮৫ জনে। দিল্লিতে করোনা আক্রান্ত হওয়ায় সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৯৪ হাজার ছাড়িয়েছে। এ রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ২ হাজার ৯২৩ জন করোনায় মারা গেছেন।
এছাড়া পশ্চিমবঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৬৯ জন। এ রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২০,৪৮৮ জনে। পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত ৭১৭ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
ডিসেম্বরে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসে সারা বিশ্বে রোববার পর্যন্ত আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে এক কোটি ১৩ লাখ ৭৮ হাজারের বেশি মানুষ। তাদের মধ্যে বর্তমানে ৪৪ লাখ ১১ হাজার ৬৩২ জন চিকিৎসাধীন এবং তাদের মধ্যে ৫৮ হাজার ৫৩০ জন (২ শতাংশ) আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে।
তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছে অনেক মানুষ। এ পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে ৬৪ লাখ ৩৯ হাজার ৬৬৬ জন সুস্থ হয়ে উঠেছে।