করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধের প্রতীক হিসেবে রোববার রাত ন’টায় সব আলো বন্ধ করে নয় মিনিটের জন্য বাড়ির বারান্দা বা দরজায় গিয়ে প্রদীপ জ্বালাতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
কিন্তু আচমকা বিদ্যুতের চাহিদা অতটা কমে গেলে গ্রিড সেটা সহ্য করতে পারবে কি না, সেই নিয়েই চিন্তিত দেশটির কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়।
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সবাই ঐক্যবদ্ধ, প্রদীপ জ্বালিয়ে সেটা বিশ্বের কাছে বার্তা দিতে এ আহ্বান করেছেন নরেন্দ্র মোদি।
শুক্রবার জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণার পর উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসে দেশটির বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়।
বিদ্যুৎমন্ত্রী আরকে সিং ও পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড (পিজিসিআইএল) এবং জাতীয় লোড ডিসপাস সেন্টারের গ্রিড অপারেটর এর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন।
বৈঠকে বলা হয়, লকডাউনের কারণে কলকারখানা বন্ধ। ফলে এমনিতেই বিদ্যুতের চাহিদা তলানিতে। এর ওপর যদি সবাই আলো বন্ধ করে দেয় তাহলে গ্রিডের ওপর মারাত্মক চাপ পড়বে। এ নিয়েই সবাই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জ্যেষ্ঠ অফিসার জানিয়েছেন: বৈঠকে পিজিসিআইএল ও লোড ডিসপ্যাচাররা বলেছেন যে, তারা ওদিন বিদ্যুতের গ্রিড যাতে স্টেবল থাকে, সেটা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাবেন। বাণিজ্যিক কাজকর্মের অভাবে এই মুহূর্তে চাহিদা প্রায় ৩০ শতাংশ কম। এর ওপরে অত দ্রুত চাহিদার চড়াই-উতরাই নিয়ে উদ্বেগ জানানো হয়।
ব্রিজ টু ইন্ডিয়া এনার্জি প্রাইভেট লিমিটেড এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর বিনয় রুস্তাগি বলেন: ন’টার সময় সবাই যদি আলো নিভিয়ে দেয় ও তারপর নয়টা দশ নাগাদ আবার চালু করে তাহলে অল্প সময়ের মধ্য ১০-১৫ GW লোড কমে গিয়ে আবার ফিরে আসবে। এরকম আগে কখনো হয়েছে বলে জানা নেই।
প্রয়োজনে হাইড্রো ও গ্যাস পাওয়ারের ব্যাকআপ রাখতে হবে বলে তিনি জানান।
কিন্তু বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা আত্মবিশ্বাসী যে তারা পরিস্থিতি সামলে দেবেন। একজন কর্মকর্তা বলেছেন যে, মোট ১৫ GW ওঠা-নামা করবে বিদ্যুৎ। সেটার ওপর নজর রাখতে হবে।
ইতোমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্যে সার্কুলার জারি হয়েছে যে, গ্রিড সামলানোর জন্য ওই রাত আটটা থেকে নয়টার মধ্যে মাঝে মাঝে লোডশেডিং করার, যাতে একেবারে চাপ না পড়ে।