বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭৯ লাখ। এতে মোট মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৩২ হাজার। এই সংখ্যায় পোঁছাতে ভাইরাসটির সময় লেগেছে ছয় মাস।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইতালি, ফ্রান্স, স্পেনের পর করোনা গতি পরিবর্তন করে ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল, মেক্সিকো, চিলিতে তাণ্ডব চালাচ্ছে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে করোনা মোকাবেলায় ল্যাটিন আমেরিকার দেশের দায়িত্বহীন কাজের সমালোচনায় শনিবার পদত্যগ করেছেন চিলির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাইমি মানালিচ। তার জায়গায় একাডেমিশিয়ান ও মেডিক্যাল ডাক্তার অস্কার এনরিক প্যারিসকে নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্বের বিষয়ে চিলির প্রেসিডেন্ট সেবাস্তিয়ান পিনেরা বলেছেন, ‘নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর প্রথম মিশন হবে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করা। তবে তাকে পাবলিক ও প্রাইভেট স্বাস্থ্য ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন নিয়েও কাজ করতে হবে।’
অন্যদিকে দেশটিতে ২৪ ঘণ্টায় মোট ২৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ৬ হাজার ৫০৯ জন। তাতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৩৫৫ জন। যা ফ্রান্সের চেয়ে বেশি। এ পর্যন্ত মারা গেছে ৩ হাজার ১০১ জন।
এমনকি দেশের জনসংখ্যার প্রতি ১০ লাখ হিসেবে চিলিতে আক্রান্তের সংখ্যা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুয়ারী, ল্যাটিন আমেরিকার দেশে হঠাৎ করোনা আক্রান্ত রোগী এবং মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ার ফলে মৃত্যু হার কমতে থাকলেও ১০ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। একদিনের বিশ্ব রেকর্ডে করোনায় সবচেয়ে বেশি মারা গেছে ব্রাজিলে ৮৯০ জন, যুক্তরাষ্ট্রে ৭০২ জন, মেক্সিকোতে ৫০৪, চিলিতে ২৩১ ।
আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে নতুন রেকর্ড তৈরি করেছে ভারতও। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। আর সেখানে মোট মৃত ১০ হাজার জন।
বিশ্বের অনেক দেশেই করোনাভাইরাস পরীক্ষা ও পরীক্ষার সরঞ্জাম অপ্রতুল। আবার হাসপাতালের বাইরের অনেক মৃত্যুরও হিসাবও রাখা হয়নি। ফলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা।
গত ১০ জানুয়ারি চীনের উহানে ৪১ জনের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি জানিয়েছিল দেশটির সরকার। বিশ্বজুড়ে সংখ্যাটি ১০ লাখে পৌঁছায় ১ এপ্রিল। এরপর প্রতি দুই সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ করে বাড়ছে।
পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেওয়ায় গত ১১ মার্চ করোনা ভাইরাস সংকটকে মহামারী ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।