দেশে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের ১৬৩তম দিনে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৫৯৫ জনের দেহে করোনাভাইরাস এর উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৩৭ জন মারা গেছেন। আর এসময়ে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৬৪১ জন।
সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ৮৩৬টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আগের কিছুসহ পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৫২৩টি। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১৩ লাখ ৬৪ হাজার ১৮৯টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৭২ শতাংশ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও ২ হাজার ৫৯৫ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৭৯ হাজার ১৪৪ জন। মোট সংক্রমণের হার ২০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৩৭ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩ হাজার ৬৯৪-এ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩২ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার ৬৪১ জন। সবমিলিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৬০ হাজার ৫৯১ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, মৃত ৩৭ জনের মধ্যে ২৮ জন পুরুষ ও ৯ জন নারী।
গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে, ত্রিশোর্ধ্ব তিনজন, চল্লিশোর্ধ্ব ৮ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৮ জন, ষাটোর্ধ্ব ১৮ জন। মৃতদের ২০ জন ঢাকা বিভাগে, ৪ জন চট্টগ্রাম বিভাগে, রাজশাহী বিভাগে ৩ জন, ৬ জন খুলনা বিভাগে, ১ জন বরিশাল বিভাগে ও রংপুর বিভাগে ৩ জন।
হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন ৩১ জন, বাড়িতে ৬ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে আরও ৬৪০ জনকে এবং এ পর্যন্ত আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে ৬২ হাজার ৭১২ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৮৭৮ জন এবং এ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ৪২ হাজার ৬১১ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন ২০ হাজার ১০১ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে ১ হাজার ৮৭১ জনকে এবং এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে চার লাখ ৬৯ হাজার ৩১২ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পেয়েছেন ১ হাজার ৮৩১ জন। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইন থেকে মোট ছাড় পেয়েছেন চার লাখ ১৬ হাজার ৫০৬ জন। বর্তমানে হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৫২ হাজার ৮০৬ জন।
চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ১৮ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৭ লাখ ৭৩ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১ কোটি ৪৫ লাখের বেশি মানুষ।
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে বিভিন্ন মেয়াদে ছুটি বাড়িয়ে সর্বশেষ ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। দেশের ইতিহাসের দীর্ঘ এ ছুটির পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৩১ মে থেকে অফিস-আদালত খোলা হয়েছে। এছাড়াও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে চালু হয়েছে গণপরিবহনও।