দেশে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের ১৪৫তম দিনে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৬৯৫ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৪৮ জন মারা গেছেন। এসময়ে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৬৬৮ জন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এসব তথ্য জানান।
ডা. নাসিমা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ৬৬৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আগের কিছু সহ পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৯৩৭টি। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১১ লাখ ৬৪ হাজার ১৯৫টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
তিনি বলেন, নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও ২ হাজার ৬৯৫ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৩৪ হাজার ৮৮৯ জন। মোট শনাক্তের হার ২০ দশমিক ১৮ শতাংশ। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৪৮ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩ হাজার ৮৩-এ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩১ শতাংশ।
তিনি আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ৬৬৮ জন। সবমিলিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৩২ হাজার ৯৬০ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৬ দশমিক ৬১ শতাংশ।
নাসিমা সুলতানা জানান, মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে পুরুষ ৩৬ জন এবং নারী ১২ জন। এখন পর্যন্ত মোট পুরুষ মারা গেছেন দুই হাজার ৪২৪ জন, যা ৭৮ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং নারী মারা গেছেন ৬৫৯ জন, যা ২১ দশমিক ৩৮ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে মারা গেছেন ৪১ জন এবং বাড়িতে মারা গেছেন সাত জন।
২৪ ঘণ্টায় মার যাওয়াদের মধ্যে বয়স বিবেচনায় ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে চার জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৪ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে পাঁচ জন এবং ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন।
এ পর্যন্ত শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে মারা গেছেন ১৮ জন; যাশূন্য দশমিক ৫৮ শতাংশ; ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ৩০ জন; যা শূন্য দশমিক ৯৭ শতাংশ; ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৮৫ জন; যা দুই দশমিক ৭৬ শতাংশ; ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২০২ জন; যা ছয় দশমিক ৫৫ শতাংশ; ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৪৩৫ জন, যা ১৪ দশমিক ১১ শতাংশ; ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৮৯০ জন, যা ২৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ এবং ষাটের অধিক এক হাজার ৪২৩ জন, যা ৪৬ দশমিক ১৬ শতাংশ।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগভিত্তিক মৃতের সংখ্যা ঢাকা বিভাগে ১৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১২ জন, খুলনা এবং সিলেট বিভাগে পাঁচ জন করে, রাজশাহীতে তিন জন এবং বরিশাল, রংপুর এবং ময়মনসিংহ বিভাগে দুই জন করে রয়েছেন।
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে বিভিন্ন মেয়াদে ছুটি বাড়িয়ে সর্বশেষ ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। দেশের ইতিহাসের দীর্ঘ এ ছুটির পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৩১ মে থেকে অফিস-আদালত খোলা হয়েছে। এছাড়াও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে চালু হয়েছে গণপরিবহনও।