দেশে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের ১১০তম দিনে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৯৪৬ জনের দেহে করোনাভাইরাস এর উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৩৯ জন মারা গেছেন। এসময়ে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৮২৯ জন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এসব তথ্য জানান।
ডা. নাসিমা বলেন: গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ হাজার ৫৮৬ টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আগের কিছু সহ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৭ হাজার ৯৯৯টি। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৪৪৩টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৯২ শতাংশ।
তিনি বলেন: নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও ৩ হাজার ৯৪৬ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ২৬ হাজার ৬০৬ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৩৯ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ৬২১-এ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৮ শতাংশ।
তিনি আরও বলেন: গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার ৮২৯ জন। সবমিলিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫১ হাজার ৪৯৫ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪০ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
ডা. নাসিমা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারী ৩৯ জনের বয়স বিশ্লেষণে দেখা গেছে ২১ থেকে ৩০ বছরের ২ জন, ত্রিশোর্ধ্ব ১ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ৭ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৯ জন, ষাটোর্ধ্ব ১২ জন, সত্তরোর্ধ্ব ৭ জন, আশি বছরের বেশি বয়সী ৭ জন এবং ৯০ বছরে বেশি বয়সী একজন রয়েছেন।
তাদের মধ্যে ১০ জন ঢাকা বিভাগের, ১০ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৫ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫ জন খুলনা বিভাগের, ৩ জন ময়মনসিংহ বিভাগের, বরিশাল বিভাগে ২ জন ও রংপুরে বিভাগের ৪ জন রয়েছেন।
যে ৩৯ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে ২৮ জন হাসপাতালে এবং ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে বাসায়।
চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ৯৫ লাখ ৪৩ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৪ লাখ ৮৫ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৫১ লাখ ৮৭ হাজারের বেশি মানুষ।
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে বিভিন্ন মেয়াদে ছুটি বাড়িয়ে সর্বশেষ ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। দেশের ইতিহাসের দীর্ঘ এ ছুটির পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৩১ মে থেকে অফিস-আদালত খোলা হয়েছে। এছাড়াও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে চালু হয়েছে গণপরিবহনও।