মহামারি করোনায় স্থবির বিশ্ব। এ অবস্থায় সচ্ছলদের খুব একটা সমস্যা না হলেও এতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন অসহায়, দুঃস্হ ও দিনমজুররা। সরকারের পাশাপাশি এমন দুর্যোগে এ অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিভিন্ন সংগঠনসহ শোবিজের তারকারা। এবার এমন দুর্যোগ মোকাবেলায় অসহায়দের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ নিলেন স্বাধীন ধারার সিনেমা নির্মাতারা।
শুধু বাংলাদেশই নয় এতে যুক্ত রয়েছেন দেশের বাইরের নির্মাতারাও। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ‘ফিল্ম ফর হিউমিনিটি’ নামে একটি সংগঠন দাঁড় করানো হয়েছে বলে চ্যানেল আই অনলাইনকে জানিয়েছেন এরসঙ্গে যুক্ত নির্মাতা ও প্রযোজক জসীম আহমেদ। তিনি জানান, এ আয়োজনে আমাদের সঙ্গী হিসেবে থাকছে অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন ‘বিদ্যানন্দ’।
চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর পুরো আয়োজনটি নিয়ে জসীম আহমেদ জানান, একজন সৃষ্টিশীল মানুষের সম্বলতো তার সৃষ্টি। তো আমরা যেহেতু ফিল্মমেকার, আমাদের তো ফিল্মই সম্বল। তাই নিজেদের তৈরী স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নিয়ে বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশের চলচ্চিত্র নির্মাতাদের প্লাটফর্ম ‘ফিল্ম ফর হিউমিনিটি’। এই প্লাটফর্মে জমা হওয়া চলচ্চিত্রগুলোর প্রদর্শন হবে আন্তর্জাতিক প্লাটফর্ম ভিমিয়োতে। সেখানে অন ডিমান্ড রেন্টাল সিস্টেমে একজন দর্শক পৃথিবীর যেকোন প্রান্ত থেকে চলচ্চিত্রগুলো দেখতে পাবেন। চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী হতে প্রাপ্ত পুরো অর্থ দেয়া হবে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনকে।
বিদ্যানন্দের মাধ্যমে অসহায় মানুষ ও প্রাণীদের কাছে খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী পৌঁছে দেয়ার উদ্দেশ্যেই এ আয়োজন বলে জানান জসীম আহমেদ। প্রত্যেক নির্মাতাকে ভিমিয়ো থেকে প্রাপ্ত অর্থের পুরো হিসেব এবং সেই অর্থ কোথায় বা কোন প্রক্রিয়ায় অসহায় মানুষ ও প্রাণীদের প্রদান করা হচ্ছে তার অফিসিয়াল ডকুমেন্টস ইমেইলের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেয়ার পাশাপাশি ইভেন্ট গ্রুপে প্রকাশ করা হবে বলেও জানান তিনি।
এরইমধ্যে দেশের আলোচিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা ও দেশের নবীন নির্মাতাসহ দেশ বিদেশের প্রায় ২৫ টি চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর জন্য জমা পড়েছে বলে জানান জসীম আহমেদ। তিনি বলেন, শিগগিরই আরও কিছু চলচ্চিত্র পাওয়া যাবে। চলচ্চিত্র সংগ্রহ চলবে ১০ মে পর্যন্ত। প্রদর্শনী শুরু ১ মে থেকে এবং তা চলবে ৩০ জুন পর্যন্ত।
প্রদর্শনীর শেষ দিন নির্মাতাদের কাছ থেকে পাওয়া ছবি ভিমিয়ো ও আয়োজকদের কাছ থেকে পার্মানেন্টলি ডিলিট করে দেয়া হবে বলেও জানান ‘ফিল্ম ফর হিউমিনিটি’র এই সদস্য।