বিশ্ব মহামারী করোনাভাইরাসের মারাত্মক প্রকোপে ভারতের রাজধানী দিল্লীতে প্রতিদিনই আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বাড়ছে। এতে করে হাসপাতালগুলো রোগী ভর্তি করাচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। ফলে অসহায় হয়ে পড়ছে মানুষ।
বিবিসি জানায়, স্থানীয় গণমাধ্যমে এমন অনেক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে যে,কোভিড-১৯ এর লক্ষণযুক্ত ব্যক্তিরা রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে গিয়ে ফিরে আসছেন। অনেক সিরিয়াস রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে না পেরে ঘুরছেন স্বজনরা।
স্থানীয় এক গণমাধ্যম এমন এক ব্যক্তির অভিজ্ঞতার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে যে, তার মাকে চারটি হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও ভর্তি করাতে ব্যর্থ হয়েছেন। সবগুলো হাসপাতাল মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
এমন অসংখ্য অমানবিক ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বিভিন্ন পরিবারের সদস্যরা ভয়াবহ অবস্থার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে টুইট করেছেন।
পরিস্থিতি যখন এমন দুষ্কর তখনই দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এক ঘোষণায় বলেছেন, রাজধানীর হাসপাতালগুলো এখন কেবল শহরের বাসিন্দাদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, দিল্লী সরকারের অধীনে ১০,০০০ শয্যা আবাসিকদের জন্য রাখা হবে। তবে, ফেডারেল সরকারের অধীনে থাকা হাসপাতালগুলো অন্যান্য রাজ্যের রোগীদের জন্য ব্যবহৃত হতে পারে।
দিল্লীতে এরই মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ২৭ হাজার এবং মারা গেছে ৭৬১ জন। পুরো ভারতে করোনা আ্ক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৫৬ হাজার ৬১১ জন, যা বিশ্বের পঞ্চম সর্বোচ্চ সংখ্যা।
দিল্লীতে শীর্ষ চিকিত্সকদের সমন্বয়ে গঠিত পাঁচ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি স্থানীয় সাংবাদিকদের সতর্ক করে বলেছেন, যদি ভারতের সবকিছু এভাবে পরিচালিত হয়, তাহলে জুনের শেষের দিকে দিল্লীতে ১ লক্ষ কোভিড -১৯ রোগী হয়ে যাবে। প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে।
একদিকে রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে অন্যদিকে ভারত আজ থেকে কঠোর লকডাউন আরো শিথিল করার পদক্ষেপ নিয়েছে।