ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের আনন্দবাগ গ্রামের পর স্বেচ্ছায় লকডাউন শুরু হয়েছে কোটচাঁদপুর উপজেলার দয়ারামপুর গ্রাম।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে ৬০ যুবকের উদ্যোগে দয়ারামপুর গ্রাম লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এর সমন্বয়কারী মো. তারিক হাসান।
লকডাউনের পর থেকে প্রয়োজন ছাড়া ওই গ্রামে বাইরের কাউকে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। কেউ ঢুকতে চাইলেও পুরো শরীরে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে।
লকডাউন করায় দুস্থ ও দরিদ্রদের তালিকা করে বাড়িতে পাঠানো হচ্ছে চাল, ডাল, তেলসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী।
মো. তারিক হাসান বলেন, ৬০ স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সদস্যদের গ্রামের পাঁচটি মোড়ে তিন শিফটে দায়িত্ব দেয়া হয়। প্রতি মোড়ে বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড দেয়া হয়েছে। এছাড়া হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও জীবাণুনাশক স্প্রে রাখা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, লকডাউনের ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নেয়া হয়েছে। করোনাভাইরাসের প্রকোপ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এভাবে চলবে। গ্রামটি সুরক্ষিত রাখতে সবাই মিলে চেষ্টা করছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ গ্রামের বাইরে যেতে কিংবা ঢুকতে পারছে না।
সমন্বয়কারী তারেক বলেন, গরিবদের সহায়তার পাশাপাশি সব দোকানিদের বাড়িতেও খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। এছাড়া ৩০ হাজার মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান কাবিল উদ্দীন বিশ্বাস জানান, স্বেচ্ছাসেবকদের নিজস্ব অর্থায়নে এসব কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। তাদের এমন উদ্যোগ প্রশংসনীয়।