চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহারাজপুরে দ্বিতীয় করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ায় ৪০টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের মহাম্মদপুর কবিরাজপাড়া গ্রামের ৩৫ বছরের এক যুবকের করোনা আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী।
এ নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২জন।
সোমবার রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার চরমোহনপুর এলাকায় প্রথমে একজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। করোনা শনাক্ত রোগীরা ২জনই নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা। প্রথম জন ১৫ এপ্রিল এবং ২য় জন ১৬ এপ্রিল চাঁপাইনবাবগঞ্জে আসে। তাদের নমুনা সংগ্রহ করে রাজশাহী মেডিকেল থেকে পরীক্ষায় পজেটিভ রেজাল্ট আসে।
এ ঘটনায় চরমোহনপুর এলাকার ১০টি বাড়ি এবং মহারাজপুর কবিরাজপাড়ার ৪০টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসন। এর মধ্যে প্রথম সনাক্ত করোনা রোগী নারায়ণগঞ্জ জজ কোর্টের এমএলএসএস এবং দ্বিতীয় জন পেশায় রাজমিস্ত্রী।
এ বিষয়ে মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব অধ্যক্ষ এজাবুল হক বুলি জানান, মহারাজপুর ইউনিয়নের ঢাকা ফেরৎ এক যুবকের করোনা রেজাল্ট পজেটিভ এসেছে। তাৎক্ষণিক আশপাশের ৪০ বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সার্বক্ষণিক তদারকি ও সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে, যেন কেউ ঘর থেকে বের না হয় এবং ওই বাড়ির সাথে কেউ যোগাযোগ রাখতে না পারে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের মহাম্মদপুর কবিরাজপাড়া গ্রামের ওই বাসিন্দা, নির্মাণ শ্রমিক ১৬ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জে আসেন। এরপর থেকে তিনি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। ১৭ এপ্রিল স্যাম্পল গ্রহণের পর মঙ্গলবার রাজশাহী পিসিআর ল্যাব থেকে তার রির্পোট পজেটিভ আসে।
এর আগে সোমবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার এক যুবকের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। তিনি জানান, তার দেহে করোনা কোন উপর্সগ ছিলোনা। ১৯ এপ্রিল থেকে তিনি হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানান, ওই নির্মাণ শ্রমিকের রিপোর্ট পজেটিভ আসার পর মহারাজপুরের কবিরাজপাড়ার ৪০টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। ওই এলাকায় জনসাধারণের চলাচলের উপর বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে।