করোনাভাইরাস এ গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ১১২ জনের দেহে কোভিড-১৯ এর উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত হিসেবে শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৩০ জনে।
এসময়ে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে আরও ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ জনে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে যুক্ত হয়ে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন: টেস্টের পরিমাণ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই আমরা আক্রান্তের সংখ্যা বুঝতে পারছি যে আক্রান্তের শনাক্তের সংখ্যা। সংক্রমণের সংখ্যা বাড়লেও মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। গতকাল আমরা চীনের উহানের চিকিৎসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেছি, তাদের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা আমরা অনুসরণ করছি।
এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী সকলকে ঘরে থাকার পরামর্শ দেন।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। এর পর ১৮ মার্চ কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত হয়ে প্রথম ব্যক্তির মৃত্যুর কথা জানায় আইইডিসিআর।
২৫ মার্চ প্রথমবারের মতো সংস্থাটি জানায় যে, বাংলাদেশে সীমিত আকারে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা সামাজিকভাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হচ্ছে।
চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২০৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে সাড়ে ১৪ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন প্রায় ৮২ হাজার জন। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৩ লাখের বেশি মানুষ।
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে এই ছুটি ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। রোববার এ ছুটির মেয়াদ ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
ছুটির সময়ে অফিস-আদালত থেকে গণপরিবহন, সব বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল, জরুরি সেবা এই বন্ধের বাইরে থাকছে। জনগণকে ঘরে রাখার জন্য মোতায়েন রয়েছে সশস্ত্র বাহিনীও।