গার্মেন্টস, শিল্প, ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্প এবং রপ্তানিখাতের পর এবার প্রণোদনা পেল দেশের কৃষিখাত। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কৃষিতে যেন কোনো প্রভাব না ফেলে সেজন্য ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
৫ শতাংশ সুদে কৃষকদের দেওয়া হবে এই অর্থ।
রোববার করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে বরিশাল ও খুলনা বিভাগের জেলাগুলোর সাথে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে এই ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।
সেসময় তিনি বলেন, ‘দেশের সবধরনের কাজতো আর একেবারে বন্ধ থাকবে না। কেউ কেউ কাজে যেতে চাইলে ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে, প্রশাসন সেই ব্যবস্থা করে দেবে। তবে মানুষ থেকে মানুষে সংস্পর্শ যতটা সম্ভব কমাতে হবে। তাই সকলকে অনুরোধ করছি উৎপাদিত পণ্যগুলি যথাযথ জায়গায় বিক্রি করবেন।’
প্রধানমন্ত্রী যোগ করেন, ‘এই ধরনের অবস্থার মধ্যে এলাকায় সপ্তাহিক হাটও হতে পারে। সেক্ষেত্রে বড় কোনো জায়গা বেছে নিয়ে ফাঁকা ফাঁকা করে সবাই যার যার পণ্য নিয়ে বসবেন। ক্রেতারা এসে পণ্য কিনে নিয়ে চলে যাবে। ভিড় যেন না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে।’
ধান কাটা শুরু হয়েছে। তাই দিনমজুররা যেন সেই কাজে যেতে পারেন বা ধান কাটার কাজে হাত দিতে পারেন সে ব্যবস্থা সেটা করে দেওয়ার কথা জানান তিনি।
‘‘ঘরে ঘরে খাবার পৌছে দেয়ার ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। আমাদের যথেষ্ট খাদ্যসামগ্রী আছে। সবাইকেই খাবার দিতে পারবো। কিন্তু আপনারা যেহেতু ঘরে বন্দী এখন তাই নিজেরাই একটু চাষবাস করেন। টবেও গাছ লাগান। তরিতরকারী বা যাই হোক লাগান। সবশ্রেণির মানুষের জন্যই আমরা প্রস্তুত। সামনেই বোরোধান উঠবে। গত বছর সরকার যে পরিমাণ ধান কিনেছিলো এবার আরো বেশি ক্রয় করবে।’’
সবাইকে কম মেলামেশারও আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটা ভাইরাসের কারণে বিশ্ব স্থবির। সারাবিশ্ব ঘরে বন্দী। আমরাও সব কর্মসূচি বন্ধ করে দিয়েছি। এসময় খুব বেশি মেলামেশার দরকার নেই। কোথায় ভাইরাস আছে তা তো আমরা জানিনা। সকলে মুখে মাস্ক ব্যবহার করবেন। তাহলে নিজেকে অনেকটাই সুরক্ষিত রাখতে পারবেন।’
তিনি আও বলেন, ‘গত ২৫ মার্চ থেকেই সবকিছু বন্ধ করেছি আমরা। এবছর নববর্ষের কোনো অনুষ্ঠান করবেন না। ঘরে ঘরে পরিবার ছেলেমেয়েদের নিয়ে নববর্ষের অনুষ্ঠান পালন করুন। ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আমরা অনেক ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। কিন্তু কেউ কেউ কথা শোনেনা তাই গ্রামেও এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। বাইরে থেকে এসে অনেকে নানান জায়গায় ছুটে বেড়ােচ্ছে। ওই এলাকার সবাইকে সংক্রমিত করছে। শ্বশুর বাড়িতো পরে গেলেও পারেন, আত্মীয়র বাড়ি কদিন পরে বেড়াতে গেলেও পারেন।’
সম্প্রতি গার্মেন্টস, শিল্প, ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্প এবং রপ্তানিখাতে প্রণোদনা হিসেবে পৌনে ৭৩ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।