করোনাভাইরাস এর প্রস্তুতি এবং প্রতিরোধে সহায়তার জন্য কক্সবাজারে বাংলাদেশ সরকারকে ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম (পিপিই) সরবরাহ করেছে ইউএনএইচসিআর। পাশাপাশি জরুরি প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামও সরবরাহ করেছে।
কক্সবাজার জেলার সিভিল সার্জন অফিস এবং সদর হাসপাতালে গাউন, মাস্ক, গগলস, গ্লোভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং জীবাণুনাশক সরঞ্জাম দেয়া হয়েছে।
কক্সবাজারের সদর হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট ডাঃ মোঃ মহিউদ্দিন বলেন, এই মুহূর্তে এসবই সবচেয়ে বেশি দরকার ছিল।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ)-এর সক্ষমতা বাড়াতেও ইউএনএইচসিআর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সাহায্য করছে। নতুনভাবে এখানে থাকবে ১০টি আইসিইউ শয্যা, অতিরিক্ত ৮টি উন্নত সুবিধা সম্বলিত শয্যা এবং এর জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যকর্মী।
এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার স্থানীয়ভাবে এবং জাতীয়ভাবে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে পদক্ষেপ নিয়েছে এবং পিপিই সরবরাহের পাশাপাশি অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় চিকিৎসা সরবরাহের বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য নিবিড় প্রয়াসে নিযুক্ত রয়েছে।
জাতিসংঘ এবং মানবিক সংস্থাগুলো যখন যেখানে সম্ভব, এই প্রচেষ্টাগুলিকে সমর্থন করছে এবং পিপিইসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর অতিরিক্ত সংস্থান করার চেষ্টা করছে। কক্সবাজারে ইউএনএইচসিআর ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত সম্ভাব্য ব্যক্তিদের চিকিৎসায় মেডিক্যাল সুবিধা প্রস্তুত করার জন্য সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে নিবিড় সহযোগিতায় কাজ করছে। এর মধ্যে রয়েছে উখিয়ায় বর্তমানে একটি আইসোলেশন এন্ড ট্রিটমেন্ট সেন্টার (আইটিসি) প্রতিষ্ঠা করা, যা স্থানীয় বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গা শরণার্থী সম্প্রদায়ের রোগীদের সেবা দেবে। এটি মানবিক সংস্থাগুলো এবং বাংলাদেশ সরকার দ্বারা প্রস্তুত করা বেশ কয়েকটি সুবিধার মধ্যে একটি।
ইউএনএইচসিআরের সিনিয়র পাবলিক হেলথ অফিসার স্যান্ড্রা হার্লাস বলেন, মহামারীটি একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ, যা আন্তর্জাতিক সংহতি ও সহযোগিতার মাধ্যমে মোকাবেলা করতে হবে। কক্সবাজারের সমস্ত ক্ষতিগ্রস্থ সম্প্রদায়ের জন্য সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিত করতে আমরা সরকারি কর্তৃপক্ষের সাথে একসাথে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।
ইউএনএইচসিআর এবং অংশীদার সংস্থাগুলো উখিয়া এবং টেকনাফ উপজেলার স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোর পাশাপাশি শরণার্থী শিবিরগুলোর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে অতিরিক্ত চিকিৎসা সামগ্রী ও সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে।