করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরুর দিকে কয়েকমাস লকডাউন থাকলেও ধীরে ধীরে সবকিছু খুলছে। এতে আবার ফিরে আসছে স্বাভাবিক কর্মচাঞ্চল্য। করোনার কারণে এতদিন ভার্চুয়াল কোর্ট চালু থাকলেও ইতোমধ্যে খুলে দেওয়া হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এর ফলে আইনজীবী, বিচারপ্রার্থী ও আদালত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পদচারণায় মুখর হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ।
এছাড়া বিভিন্ন অফিস ইতোমধ্যে খোলা হয়েছে। সরকারি অফিসের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিস আসার করছেন। সরকারি-বেসরকারি অফিস এবং দেশের সর্বোচ্চ আদালত প্রাঙ্গণ বহুদিন পর মুখরিত হলেও সংক্রমণের ঝুঁকি এখনও রয়েছে। করোনা সংক্রান্ত নিরাপত্তা গ্রহণের বিষয়েও জনসাধারণের মধ্যে এক ধরনের গাফিলতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এমন প্রেক্ষাপটে হাইকোর্টের বিচারপতি এবং আইনজীবীদের নির্ধারিত ড্রেসের ক্ষেত্রে শিথিলতা আনা হয়েছে। কোর্ট ড্রেসের বাধ্যাতামূলক অনুষঙ্গ কালো কোর্ট ও গাউন ছাড়াই এখন সাদা শার্ট-প্যান্ট/শাড়ি কিংবা সালোয়ার-কামিজ পরে মামলার শুনানিতে অংশ নিতে পারবেন বিচারপতি এবং আইনজীবীরা। এটা অবশ্যই প্রশংসনীয় উদ্যোগ।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে মারা গেছে ১ হাজার ৫০৪ জন এবং ব্রাজিলে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ২০৪২ জনের। আর তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে মারা গেছে ৮৩৫ জন। বাংলাদেশেও এখনো কমেনি মৃত কিংবা শনাক্তের সংখ্যা। এরমধ্যেই এমন গাফিলতি ভয়াবহ পরিস্থিতি ডেকে আনতে পারে। এজন্য জনসাধারণ এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
এটা ঠিক যে, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে মাসের পর মাস সবকিছু বন্ধ করে থাকা যাবে না। বাংলাদেশের মতো দেশে সেটা সম্ভবও নয়। এজন্যই বাস্তবতার নিরিখে ধীরে ধীরে সবকিছু স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। তবে সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাবধানতার কোনো বিকল্প নেই। সবার সম্মিলিত সচেতনতা ও প্রচেষ্টা থাকলে করোনাভাইরাস মোকাবেলা করে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসা সম্ভব হবে বলে আমরা আশাবাদী। এজন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে আমরা সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।