করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী জিন কাসটেক্স আরো কঠোর সীমান্ত বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছেন। তবে দেশব্যাপি নতুন লকডাউন দেওয়া হচ্ছে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
রোববার থেকে ফ্রান্সে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাইরের জরুরি ছাড়া সব ধরনের ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হবে। এমনকি ইইউয়ের ভেতরেও পরীক্ষা নিরীক্ষার রিপোর্ট চাওয়া আরও কঠোর করা হবে।
কাসটেক্স বলেন, সান্ধ্যকালীন কারফিউ ও অন্যান্য যেসব নিয়মনীতি আছে সেগুলো আরো বেশি করে প্রয়োগ করবে পুলিশ।
এসব কঠোর নিয়মনীতি সত্ত্বেও সম্প্রতি ফ্রান্সে সংক্রমণের হার অনেক বেশি। নতুন নিয়মের ফলে প্রভাব পড়বে যুক্তরাজ্যের উপর। কারণ তারা বর্তমানে আর ইইউতে নেই। তবে তাদের পরিবহনমন্ত্রী টুইটবার্তায় পরিস্কার করেছেন, এসব পরিবর্তনের ফলে যুক্তরাজ্যে পণ্য পাঠানো ও সেখান থেকে পণ্য নেওয়া প্রভাবিত হবে না।
কাসটেক্স বলেন, লকডাউনের গভীর প্রভাব সম্পর্কে আমরা জানি। গত কয়েকদিনের তথ্য বিশ্লেষণ করে আমরা বিবেচনা করেছি, আমরা আমাদের আরো একবার এটা এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ দিতে পারি।
নতুন নিয়ম অনুসারে রোববার থেকে ইইউয়ের বাইরের জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সব ধরনের ভ্রমণ নিষিদ্ধ হবে। ইইউ দেশগুলো থেকে আগতদেরও পিসিআর টেস্টের রিপোর্ট থাকতে হবে। আগে এটা শুধু আকাশ ও সমুদ্র ভ্রমণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ছিলো, যারা সড়ক পথে আসছেন তাদের জন্য নয়।
ফ্রান্সে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৩১ লাখের বেশি আর প্রাণ হারিয়েছে ৭৫ হাজারের বেশি মানুষ।