আক্রান্ত শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যার দিক থেকে বেশ কয়েকমাস যাবতই সব থেকে এগিয়ে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এবার একদিনে আক্রান্ত শনাক্তের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রকেও ছাড়িয়ে গেলো ব্রাজিল।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্রে একদিনে এই ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৬৮ হাজার ৩২১ জন আর ব্রাজিলে এই সময়ে এই ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৭৪ হাজার ২৪৫ জন। তবে মোট সংখ্যায় দুই দেশের মধ্যে ব্যবধান এখনও অনেক বেশি। যুক্তরাষ্ট্রে মোট আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ২ কোটি ৯৫ লাখ ২৬ হাজার জন আর ব্রাজিলে এই সংখ্যা ১ কোটি ৭ লাখ ৯৬ হাজার ৫০৬ জন।
একদিনে মৃত্যুর ঘটনা অবশ্য এখনও যুক্তরাষ্ট্রেই বেশি। সেখানে একদিনে প্রাণ হারিয়েছে ১ হাজার ৯৯৩ জন আর মোট প্রাণ হারিয়েছে ৫ লাখ ৩৩ হাজার মানুষ। ব্রাজিলে একদিনে ১ হাজার ৭৮৬ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৬১ হাজার জনে।
ভারতে সংক্রমণের সংখ্যা বেশি থাকলেও মৃতের সংখ্যা তুলনামূলক কম। সেখানে একদিনে এই ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ১৬ হাজার ৮০০ জন আর প্রাণ হারিয়েছে ১১৩ জন। দেশটিতে মোট আক্রান্ত শনাক্ত ১ কোটি ১১ লাখ ৭৩ হাজার আর মোট মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ৫৭ হাজার ৫০০ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চীনে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয় গত বছরের বছরের ৯ জানুয়ারি। ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে বিভিন্ন দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ে।
করোনার প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ওই বছরের ২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপিন্সে। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বর্তমানে সারাবিশ্বে ১১ কোটি ৬২ লাখ মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত আর প্রাণ হারিয়েছে ২৫ লাখ ৮১ হাজারের বেশি মানুষ।