এক মাসের ব্যবধানে ভারতে করোনাভাইরাসে মৃত্যু এবং আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এরইমধ্যে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে পাঁচ লাখ। মৃত্যু হয়েছে ১৭ হাজার। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় প্রাণহানি ঘটেছে ৪১৭ জন এবং আক্রান্ত হয়েছে ১৮ হাজার ৩৩৯ জন। যা একদিনে বিশ্বব্যাপী দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
তবে গত মে মাস থেকে বরাবরের মতো মৃত্যু এবং আক্রান্তের দিক দিয়ে এগিয়ে আছে ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। দেশটিতে একদিনে মারা গেছে ৭২৭ জন। তারপরের অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের,দেশটিতে গত কয়েক মাস করোনার তাণ্ডবের পর মঙ্গলবার মারা গেছে ৩৪৬ জন, মেক্সিকোতে ২৬৭, পেরুতে ১৮৭ ও ইরানে ১৬২ জন।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যমতে, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি চার লাখ ৭ হাজার ৮৫৫ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ৬০ হাজার ৯৮৫ জন। এছাড়া বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৮ হাজার ৭৭ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৩৪১৫ জন। এছাড়া করোনা থেকে মোট সুস্থ হয়েছেন ৫৬ লাখ ৬৪ হাজার ৩৫৫ জন।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করলে দেখা যায়, সংক্রমণের বিস্তার সবচেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে দেশটির মহারাষ্ট্র রাজ্যে। এরপরই দিল্লি, গুজরাট, তামিলনাড়ু এবং পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে
সংক্রমণ বাড়ছে বাংলাদেশেও। সংক্রমণের দিক থেকে ১৮ নম্বর অবস্থানে থাকা বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৪১ হাজার ৮০১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৭৮৩ জনের। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫৭ হাজার ৭৮০ জন।
এমন পরিস্থিতিতে সোমবার হতাশার কথা জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস।তিনি বলেছেন, ‘নভেল করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ মহামারির অবসানের সম্ভাবনা তো দূরের কথা, বিশ্ব এখনো করোনার সবচেয়ে খারাপ দিকটা এখনো দেখেইনি’।
গত বছরের ডিসেম্বরের চীন থেকে উৎপত্তি হওয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে।
গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।