করোনাভাইরাস এর বিস্তার রোধের নিয়ম অনুসারে গত ২০ মার্চ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে প্রায় ৮ হাজার ৮শ’ একাকী অভিবাসী শিশুকে বিতাড়িত করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগে শুক্রবার দায়ের করা আদালতের নথি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
ট্রাম্প প্রশাসন জুনের পরে সংখ্যাটা প্রকাশ করা বন্ধ করে। তখন তারা জানিয়েছিল যে, প্রায় ২ হাজার শিশুকে বিতাড়িত করা হয়েছে। কিন্তু অভিবাসন আইনজীবীদের বক্তব্য, এই সংখ্যা আরও অনেক বেশি। যদিও শুক্রবার পর্যন্ত বিতাড়নের পরিধি পরিষ্কার ছিল না।
২১ মার্চ প্রশাসনের নতুন সীমান্ত বিধিমালা কার্যকর করা হয়েছে, যা শিশুদের পাচারের হাত থেকে রক্ষা এবং তাদের যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন আদালতে আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ দেওয়ার উদ্দেশে তৈরি আইনের কয়েক দশকের পুরানো রীতি বাতিল করে দেয়। প্রশাসনের মতে, জরুরি নিয়মগুলো অভিবাসীদের হোল্ডিং সুবিধা এবং যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের মধ্যে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব রোধ করার জন্য তৈরি করা হয়েছে।
তারপর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা মানসম্পন্ন অভিবাসন প্রক্রিয়া ছাড়াই অভিভাবকবিহীন শিশুসহ অভিবাসীদের দ্রুত সরিয়ে ফেলার কাজ করছে।
আসন্ন ৩ নভেম্বর ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার আগে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বৈধ ও অবৈধ অভিবাসন সম্পর্কে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন তিনি।
অভিবাসন আইনজীবীদের যুক্তি, নতুন বিধিগুলো অভিবাসী বিশেষত শিশুদের মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। ফেডারেল সরকার লাইসেন্সবিহীন ঠিকাদারদের অধীনে তাদের কয়েক দিন বা কয়েক সপ্তাহ ধরে হোটেলে রেখে দেয়। অ্যাটর্নি বলেন, এসব শিশুদের ব্যক্তিগত তথ্যগুলো সাধারণ কম্পিউটার সিস্টেমে রেকর্ড করা হয় না, যার ফলে তাদের ট্র্যাক করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।
জুনে মার্কিন কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রটেকশন প্রধান মার্ক মরগান জানিয়েছিলেন, এই আদেশের আওতায় প্রায় ২ হাজার নি:সঙ্গ শিশুকে বিতাড়িত করা হয়েছে।
অন্যদিকে প্রায় ৮ হাজার ৮শ’ শিশুকে বিতাড়িত করার পাশাপাশি মোট ১ লাখ ৫৯ হাজার অভিবাসী এবং ৭ হাজার ৬০০ পরিবারকে বিতাড়িত করা হয়েছে বলেও তথ্যে উঠে এসেছে।