বিশ্বের বেশ কিছু দেশ করোনাভাইরাসে নতুন করে বিধ্বস্ত। এরই মধ্যে সেসব দেশে আবার করোনার বিধিনিষেধ প্রয়োগ করা হয়েছে। তবে ভেনিসে জি২০ এর অর্থমন্ত্রীদের এক মিটিংয়ে সতর্ক করে বলা হয়েছে, নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্টের কারণে ভ্যাকসিন প্রয়োগ সত্ত্বেও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার হুমকিতে রয়েছে।
ভারতে প্রথম শনাক্ত হওয়া ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়ায় সেসব দেশ চাইছে যত দ্রুত সম্ভব নিজের দেশের জনগণকে ভ্যাকসিন দিয়ে দিতে, যেন নতুন করে সংক্রমণ না ছড়ায় এবং অর্থনীতি ও দৈনন্দিন জীবন শুরু করা যায়।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছে, তারা এই ব্লকের জনগণের ৭০ শতাংশকে দেওয়ার জন্য ভ্যাকসিন পাঠিয়েছে। আগামীকালের মধ্যে ইউরোপের সব এলাকায় ৫০০ মিলিয়ন ডোজ করোনা ভ্যাকসিন বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লেয়েন।
কিন্তু ইউরোপীয়ান সেন্টার ফর ডিজিজ প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল জানিয়েছে, তবে ইইউ ও ইউরোপীয়ান ইকনোমিক এরিয়াতে ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী প্রাপ্তবয়স্কদের পুরোপুরি ভ্যাকসিন পাওয়ার হার ৪৪.১ শতাংশ।
সাউথ কোরিয়াতে ভ্যাকসিন স্বল্পতায় মাত্র ১১ শতাংশকে পুরোপুরি ভ্যাকসিন দেওয়া গেছে। পাকিস্তানেও মাত্র ৮ শতাংশকে পুরোপুরি ভ্যাকসিন দেওয়া গেছে।
ভ্যাকসিন দিয়ে করোনার সংক্রমণের ক্ষতি কিছুটা কমানো যাচ্ছে। কিন্তু নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে এসব কতটা কাজ করবে তা নিয়ে ভাবনা থেকেই যাচ্ছে।