চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

করোনাকালে শ্বাস নেওয়ার সঠিক পদ্ধতি

নাক দিয়ে শ্বাস নিন আর মুখ দিয়ে ছাড়ুন- এই বাক্যটা এখন আর শুধু যোগব্যায়াম ক্লাসে ব্যবহারের জন্যই নয়, বরং এই পদ্ধতিতে শ্বাস নেওয়া যে চিকিৎসাক্ষেত্রেও উপকারী। এমনটাই বলছেন গবেষকরা। তাদের মতে, এভাবে শ্বাস নিলে তা ভাইরাল ইনফেকশনের বিরুদ্ধে লড়তেও সহায়তা করে।

নাসারন্ধ্র অণু নাইট্রিক অক্সাইড তৈরি করে যেটাকে রসায়নবিজ্ঞানীরা এনও নামে অভিহিত করেন। এই নাইট্রিক অক্সাইড শ্বাসযন্ত্রের ভেতর দিয়ে রক্ত সরবরাহ বৃদ্ধি করে এবং রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি করে। নাক দিয়ে নি:শ্বাস নিলে এই এনও সরাসরি শ্বাসযন্ত্রে চলে যায়। এর ফলে করোনাভাইরাসে সংক্রমণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ সহজ হয়। কেননা এর ফলে শ্বাসযন্ত্রে করোনাভাইরাসের প্রতিলিপি তৈরি হওয়া বন্ধ হয়। কিন্তু যোগব্যায়াম ক্লাসে সম্পৃক্ত তারাও এই পদ্ধতিতে শ্বাস নেওয়ার উপকারিতা পেয়েছেন। এতে করে বেশি বেশি অক্সিজেন নেওয়া হয় বলে আরো বেশি সতেজ বোধ হয়।

২০০৪ সালের সার্স প্রাদুর্ভাবের সময়কার একটি গবেষণা বলছে এনও সার্স কভ আক্রান্ত স্তন্যপায়ীর কোষে নিউক্লিয়ারের স্থায়িত্ব বাড়ায়। এর মানে হচ্ছে, এনওর সরাসরি ভাইরাল বিরোধী প্রভাব রয়েছে। সেই গবেষণায় দেখা গেছে এনও তাৎপর্যপূর্ণভাবে সার্স কভের প্রতিলিপি তৈরিতে বাধা দেয় ভাইরাল প্রোটিন এবং এর জেনেটিক ম্যাটেরিয়াল আরএনএকে বাধাগ্রস্ত করে।

২০০৪ সালের ওই ছোট্ট গবেষণায় দেখা যায়, নিউমোনিয়া আক্রান্ত খুবই অসুস্থ ব্যক্তির শরীরেও এনও সার্স-কভের বিরুদ্ধে কার্যকর।

সেই সার্স কভের সঙ্গে বর্তমানের সার্ভ কভ-২ মানে করোনাভাইরাসের জিনোমের বেশ সাদৃশ্য রয়েছে। তাই ওই গবেষণা মতে, এটা করোনাভাইরাস রোগীর চিকিৎসার ক্ষেত্রেও কাজে লাগতে পারে। তাইতো এখন বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে মধ্যম থেকে গুরুতর অসুস্থ রোগীদের এনও প্রদানের ক্লিনিকাল ট্রায়াল চলছে। আশা করা হচ্ছে এনও একটি কার্যকর থেরাপী হিসেবে কাজ করে আইসিইউ এবং ভেন্টিলেটরের প্রয়োজন কমাবে।

করোনাভাইরাসের টিকার খোঁজ তো চলছেই। টিকা যতদিন না মিলছে ততদিন সঠিকভাবে শ্বাস নেওয়ার পদ্ধতিই না হয় চলুক। তাই নাক দিয়ে শ্বাস নিন আর মুখ দিয়ে ছাড়ুন।