সামাজিক সুরক্ষার বাইরে থাকা কর্মহীন ৫০ লাখ পরিবারকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আড়াই হাজার টাকা করে নগদ আর্থিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বৃহস্পতিবার এ অর্থ দেয়ার কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন।
করোনাকালে দেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে। তাদের মধ্যে থেকে কর্মহীন ৫০ লাখ পরিবার পাবে নগদ অর্থ। এর জন্য কারো কাছে ধর্ণা দিতে হবে না, টাকা হেঁটে মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে, মোবাইলের মাধ্যমে। এ পদক্ষেপ খুবই সময়োপযোগী।
সরকারসহ বিভিন্ন গোষ্ঠি এই দুর্যোগে এগিয়ে এসেছে সাধ্যমতো। দিনমজুর থেকে শুরু করে নিম্ন ও স্বল্প আয়ের মানুষদের পাশে নিত্য খাদ্যপণ্যের সহায়তা করা হচ্ছে মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে। তবে এই ক্রান্তিকাল কবে শেষ হবে, তার কোনো কূল-কিনারা না থাকায় খাদ্যপণ্যের পাশাপাশি শিক্ষা, বাসস্থান ও চিকিৎসা সংক্রান্ত নানা খরচ সামনে এসে দাঁড়িয়েছে।
গার্মেন্টসসহ নানা খাতে সরকারি প্রণোদনা বেতনের অংশ হিসেবে শ্রমিকদের হাতে পৌঁছালেও রিক্সাওয়ালা, ফুটপাতের হকার, চা দোকানীসহ দিন এনে দিন খায় ধরণের মানুষ কিছু পাচ্ছে না। সরকারি নিয়ম ও ব্যাংকিং ধারাতে তারা কিছু পাবারও যোগ্য না। মধ্যবিত্ত অনেকের অবস্থা আরও খারাপ, না তারা সাহায্যের আওতায় আসছে, না তারা লজ্জায় চাইতে পারছে। আড়াই হাজার টাকা করে নগদ আর্থিক সহায়তা তাদের অনেক কাজে লাগবে বলে আমাদের ধারণা।
প্রধানমন্ত্রী আজকের ওই অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘সবার চাহিদা পুরোপুরি পূরণ করতে পারবো না কিন্তু এই নগদ টাকায় কিছুটা হলেও সহায়তা হবে।’ ক্রান্তিকালে সরকারের এধরণের উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই।
পবিত্র রমজান মাসের শেষ লগ্নে আমরা চলে এসেছি, আসছে ঈদুল ফিতল। এ উপলক্ষে অনেকে যাকাত ও ফিতরা দেবেন। সরকারের দেখানো পথে খাদ্যদ্রব্যের পাশাপাশি নগদ অর্থ সাহায্য প্রদান করার এই ধারা অব্যাহত থাকুক। যাতে করে করোনা সঙ্কটে থাকা মানুষদের মধ্যে জীবনে কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসে।